হুমকি আগেই দিয়ে রেখেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। দক্ষিণ আফ্রিকাকে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভারতের বিধ্বংসী রূপ দেখতে হবে স্বাগতিকদের। এরপর নেতার হুংকারকে বাস্তব রূপ দিলেন ওপেনার সঞ্জু স্যামসন। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের বেধড়ক পেটালেন তিনি। ৫০ বলে ১০৭ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেললেন ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
Advertisement
শুক্রবার ডারবানে দক্ষিণ পেসারদের তুলার মতো উড়িয়েছেন স্যামসন। ডানহাতি এই ব্যাটারের ১০৭ রানের ইনিংসের ৮৮ রানই এসেছে বাউন্ডারি থেকে। ৭ চারের সঙ্গে হাঁকান ১০টি ছক্কা। অথচ সতীর্থদের বাকি সবাই মিলে হাঁকিয়েছেন মাত্র ৩টি ছক্কা। স্যামসনের দানব হওয়ার দিনে ৪ ম্যাচের সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ভারতের কাছে ৬১ রানে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
স্যামসন সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মাত্র ৪৭ বলে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কোনো ভারতীয় ব্যাটারের দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির রেকর্ড এটি।
আগের টি-টোয়েন্টিতে হায়দরাবাদে বাংলাদেশি বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে ৪৭ বলে ১১১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন স্যামসন। প্রথম ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি হাঁকানোর রেকর্ড করলেন এই মারকুটে ব্যাটার।
Advertisement
ম্যাচ শেষে স্যামসনের বিধ্বংসী ব্যাটিং নিয়ে কথা বলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। প্রোটিয়া অধিনায়ক বিশ্বাস করেন, তারা মূলত স্যামসনের কাছেই হেরে গেছেন।
মার্করাম জানান, প্রোটিয়ারা বল নিয়ে একটি ভালো শুরু করতে চেয়েছিল। ভারতীয় ওপেনার যেভাবে খেলেছেন, তা স্বাগতিকদের জন্য সবকিছু কঠিন করে তুলেছিল। স্যামসনকে থামানোর উপায় খুঁজে পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রোটিয়া অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা আরও ভালো শুরু করতে চেয়েছিলাম এবং সেখানেই আমরা হেরেছি। সঞ্জু অবিশ্বাস্য ভালো খেলেছে। আমাদের বোলারদের চাপে ফেলেছে। তাকে (স্যামসন) থামানোর পরিকল্পনা এবং আরও ভালো পরিকল্পনা আমাদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। একবার সে (স্যামসন) এভাবে মারা শুরু করলে থামানো বেশ কঠিন। তাকে আপনার টুপি-খোলা সম্মান জানাতেই হবে।’
ম্যাচের পর স্যামসন বলেন, ‘উদ্দেশ্য বলতে আমরা আক্রমণাত্মক হওয়া এবং দলকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে কথা বলেছি। একবার আপনি তিন-চার বল খেলে ফেলেন, তখন আপনি বাউন্ডারি খোঁজেন। কিন্তু আমি এটা নিয়ে বেশি কিছু ভাবছি না। কখনও কখনও এটি হয়, কখনও কখনও তা হয় না। আজ (গতকাল) এটি ভালোভাবে করতে পেরেছে, তাই খুশি।’
Advertisement
এমএইচ/এমএস