গাইবান্ধার সাদুল্ল্যাপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দ্বৈত ভোটার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই ইউপি চেয়ারম্যানের নাম মো. জাহিদ হাসান শুভ। সাদুল্ল্যাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন তিনি। ওই ইউনিয়নের শ্রমিক লীগের সভাপতি তিনি।
Advertisement
একই ব্যক্তির একাধিকবার ভোটার হওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। ফলে খোদ জনপ্রতিনিধিই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একাধিক ভোটার হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধির দাবি, কীভাবে তার নামে দুটি ভোটার নম্বর তৈরি হয়েছে তিনি জানেন না।
জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে প্রাপ্ত কাগজপত্র ঘেঁটে জানা যায়, মো. জাহিদ হাসান শুভর জন্মতারিখ ১৯৮৮ সালের ২৭ আগস্ট। তার বাবা-মায়ের নাম কছির উদ্দিন মন্ডল ও ছামছুন্নাহার বেওয়া। তার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ১০১২...। ভোটার এলাকা আরাজী জামালপুর।
অন্যদিকে একই ব্যক্তির মো. কাওছার মন্ডল নামে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আরেকটি ভোটার নম্বর ১৪৭০... পাওয়া গেছে। সেখানে তার বাবা-মায়ের নামসহ ভোটার এলাকা ঠিক আছে।
Advertisement
নির্বাচন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত ভোটার তালিকা ঘেঁটে জানা আরও যায়, এলাকাভিত্তিক ভোটার তালিকায় নির্বাচনের হলফনামায় একই জন্ম তারিখের বিপরীতে পাওয়া একটি ভোটার নম্বর অনুযায়ী মো. জাহিদ হাসান শুভ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নেন।
জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান শুভ ওরফে কাওছার মন্ডল পরিষদের নামীয় সিলে জাহিদ হাসান শুভ (কাওছার মন্ডল) নাম রেখে বিভিন্ন কাগজপত্রে স্বাক্ষর প্রদান করে আসছেন। এছাড়া তার ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক মিটার প্রাপ্তিতে ও ব্যবসায়ীক কাগজপত্রে কাওছার মন্ডল পরিচয়ে নাম যুক্ত করেছেন। এভাবে ভেলকিবাাজীতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণের জন্য ওই দুটি এনআইডি ব্যবহার করে নানাবিধ সুযোগ নিচ্ছেন তিনি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়াসহ নানা জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান শুভ বলেন, আমার নামীয় দুইটি এনআইডি রয়েছে। তা সংশোধনীর জন্য নির্বাচন অফিসে আবেদন করেছি।
সাদুল্ল্যাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাওছার হাবীব বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে একই ব্যক্তির একাধিক ভোটার হওয়া আইনসিদ্ধ নয়।
Advertisement
এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোত্তালেব বলেন, একই ব্যক্তির নামে দুটি ভোটার নম্বর থাকার বিষয়টি আমাদের নজরে আসেনি। এছাড়া ইউপি নির্বাচনে প্রার্থিতা যাচাই-বাছাইয়ের সময় বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগও করেনি। সে কারণেই নবনির্বাচিত ওই ইউপি সদস্য প্রার্থিতায় টিকেছেন।
তিনি আরও বলেন, একই ব্যক্তির একাধিকবার ভোটার হওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। খোঁজখবর নিয়ে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ এইচ শামীম/এফএ/এএসএম