ব্যাটে-বলে ভালো খেলে ভক্ত-সমর্থকদের আস্থা ও প্রত্যাশা অনেক বাড়িয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দল জিতুক বা হারুক, মিরাজ গত কয়েক বছর যাবত বাংলাদেশের অন্যতম কার্যকর পারফরমার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছেন।
Advertisement
পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জয়ে মিরাজের অবদান ছিল যথেষ্ট। এক জোড়া ‘বিগ ফিফটি’ (৭৭ ও ৭৮) উপহার দেওয়ার পাশাপাশি বল হাতে নৈপুণ্য দেখিয়ে সিরিজসেরাও হয়েছিলেন মিরাজ। ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলার কারণে দিনকে দিন ডানহাতি এই অলরাউন্ডারের ওপর ভক্তদের আস্থাও বেড়েছে অনেক। সাকিব আল হাসান দলে নেই। যে কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে মিরাজের অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের দিকে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ ভক্ত-সমর্থকদের বড় অংশ।
কিন্তু প্রথম ম্যাচে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি মিরাজ। বল হাতে সমীহ দেখালেও কোনো উইকেট নিতে পারেননি ডানহাতি এই স্পিনার। ১০ ওভারে খরচা করেছেন ৩২ রান। আর ব্যাট হাতে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছানোর মিশনে খানিকটা পথ এগিয়েও শেষ রক্ষা করতে পারেননি।
৬৫ রানে ২ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মিরাজ। ৫৫ রানের দারুণ একটি জুটিও করেছিলেন তারা। দলকে এগিয়ে দিলেও কাজের কাজ করতে পারেননি। শান্ত (৬৮ বলে ৪৭) আউট হওয়ার পর আফগান স্পিনার গজনফারের বলে খেই হারিয়ে মিরাজ (৫১ বলে ২৮) নিজেও প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন।
Advertisement
মিরাজ নিজেও স্বীকার করছেন, প্রথম ওয়ানডেতে দলের জন্য কিছুই করতে পারেননি তিনি।
ডানহাতি অলরাউন্ডারেরর সহজ-সরল স্বীকারোক্তি, ‘আমার কাছে যতটা প্রত্যাশা ছিল, ততটা আমি পূরণ করতে পারিনি। এটা আমি মনে করি।’
মিরাজ মনে করেন, পেসাররা শুরুতে ব্রেকথ্রু দিয়ে আফগানদের ব্যাকফুটে ঠেলে দিলেও তিনি আর রিশাদ হোসেন কোনোরকম সহায়তা করতে না পারায় ম্যাচ জেতা সম্ভব হয়নি।
এ সম্পর্কে মিরাজের ব্যাখ্যা, ‘আমাদের পেস বোলাররা ভালো বল করেছে। খুব দ্রুত পাঁচটা উইকেট নিয়েছে। আর আমরা মিডল ওভারে উইকেট পাইনি। একটা ১০০ রানের জুটি করেছে ওরা। এটা আমি মনে করি, বোলিং ওয়াইজ পেস বোলাররা খুব ভালো বল করেছে; মোস্তাফিজ, তাসকিন, শরিফুল তিনজনই।’
Advertisement
মিরাজ আরও বলেন, ‘মিডল ওভারে আমি ও রিশাদ যদি দুইটা উইকেট বের করতে পারতাম; তাহলে আমাদের জন্য সহজ হয়ে যেত। হয়তো আমি রান কম দিয়েছি। কিন্তু আমার কাছে দল উইকেট প্রত্যাশা করে। কারণ, আমার ভূমিকা দলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি যদি উইকেট নিতে পারি, রান করতে পারি; এটা ম্যাচ জেতার ক্ষেত্রেও অনেক উপকার হয়।’
এআরবি/এমএইচ/এএসএম