বহু বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি বিগত বছরগুলোতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত মামলাগুলোও বাতিল করা হবে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের ১২তম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
পরে সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
আইন বাতিল হওয়ার পর মামলাগুলোর কী হবে- জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, বিগত সময়ে নানা কালো আইন দিয়ে মানুষের মতপ্রকাশের পথ রুদ্ধ করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রভাবশালী গোষ্ঠীকে নিয়ে আপনি কিছু লিখেছেন, আপনার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা হয়েছে এবং আপনার সাত বছরের সাজা হয়েছে।
Advertisement
আরও পড়ুন
সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে নীতিগত সিদ্ধান্ত সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়ের সব মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান‘এসব মামলা বাতিল করা হবে। অর্থাৎ মতপ্রকাশে স্বাধীনতা সংক্রান্ত যেসব মামলা রয়েছে সেগুলোও বাতিল করা হবে। তবে অন্যান্য মামলা যেমন পর্নোগ্রাফি বা মেয়েদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলা হয়েছে সেগুলো থাকবে’- বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, গত বছর ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টকে নতুন বোতলে এনে নাম দেওয়া হয়েছিল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট। উদ্দেশ্য একই ছিল- মানুষের কণ্ঠরোধ ও দমানো। এই অ্যাক্টের মাধ্যমে কত মানুষকে হয়রানি করা হয়েছে, এর বিশাল অংশ ছিল মাইনরিটি। তাদের জেলে দেওয়া হয়েছে, হয়রানি করা হয়েছে।
গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গত অক্টোবর পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদের ১১টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসব বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের সংখ্যা ৬৫টি। যার মধ্যে ৩৯টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে।
Advertisement
এমওএস/এমকেআর/এমএস