দেশজুড়ে

হোটেলের গ্রিল-নানরুটি খেয়ে একই পরিবারের সাতজনসহ অসুস্থ ৪০

বাগেরহাটের মোংলার নিউ প্যারাডাইস হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে অন্তত ৪০ জন নারী-পুরুষ ও শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ১৪-১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

Advertisement

হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা জানান, তারা সবাই মঙ্গল (৫ নভেম্বর) ও বুধবার বিভিন্ন সময়ে পৌর শহরের নিউ প্যারাডাইস হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের গ্রিল ও নানরুটি খেয়েছিলেন। তারা কেউ পরিবারসহ আবার কেউ বন্ধু-বান্ধব মিলে খান। এ খাবার খাওয়ার পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। বুধ ও বৃহস্পতিবার দুদিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন ২২ জন। ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ৬-৭ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি গেলেও এখনো ভর্তি রয়েছেন ১৪-১৫ জন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়াও শহরের অন্যান্য ক্লিনিকে ভর্তি ও চিকিৎসা নেন আরও ১৭-১৮ জন। এদের মধ্যে এক পরিবারেরই অসুস্থ হয়েছেন সাতজন।

হাসপাতালে ভর্তি রহমাতুল্লাহ জানান, হোটেল প্যারাডাইস থেকে নেওয়া গ্রিল ও নানরুটি খেয়ে তার পরিবারের সাতজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তারা হাসপাতালে ভর্তি হন। দুদিন ধরে তারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

Advertisement

হাসপাতালে ভর্তি জহিরুল ইসলাম ও কামাল হাওলাদার বলেন, পাঁচ বন্ধু মিলে হোটেল প্যারাডাইস থেকে গ্রিল ও নানরুটি খাওয়ার পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ভর্তি করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আফসানা নাঈমা বলেন, নির্দিষ্ট একটি হোটেল থেকে খাবার খেয়ে বেশ কিছু রোগী হাসপাতালে এসেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি গেছেন। আর ১৪-১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। খাদ্যে বিষক্রিয়ায় এরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

এ বিষয়ে নিউ প্যারাডাইস হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক খোরশেদ আলম বলেন, ‘এটা ষড়যন্ত্র। প্রতিপক্ষরা এসব করাচ্ছেন ও ছড়াচ্ছেন।’

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে হোটেল মালিক খোরশেদ আলমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেকে আনা হলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন বলে জানান উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর বাসুদেব কুমার বিশ্বাস।

Advertisement

তিনি বলেন, এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হোটেল থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফিয়া শারমিন বলেন, রোগীদের অভিযোগ পাওয়া গেলে হোটেলটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আবু হোসাইন সুমন/এসআর/এএসএম