বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মেট্রোরেলে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশ হত্যা নিয়ে সম্প্রতি এক বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে কথা বলেন সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম। তার ওই বক্তব্য ঘিরে সৃষ্টি হয় আলোচনা-সমালোচনার। ওই বক্তব্যকে ‘আপত্তিকর’ উল্লেখ করে হাসিব আল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
Advertisement
ওই টকশোতে আলোচনায় অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিব বলেন, ‘যদি মেট্রোরেলে আগুন না দেওয়া হতো, যদি পুলিশদের না মারা হতো, তাহলে এই বিপ্লব এত সহজে অর্জিত হতো না। ফ্যাসিবাদের পতন নিশ্চিত করা যেত না।’
আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) নিজের ওই বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম। জবাবে তিনি বলেন, ‘ডিবিসি নিউজের প্রযত্নে বাংলাদেশ টকশোতে সময় স্বল্পতার কারণে আমার বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে বক্তব্য কিছুটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আমার বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কিছুটা ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এতে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। বক্তব্যে আমি মূলত বোঝাতে চেয়েছিলাম বিপ্লব কখনো নিয়ম মেনে হতে পারে না। পৃথিবীর সব বিপ্লবই নিয়মের বাইরে গিয়ে সংঘঠিত হয়েছে।’
আরও পড়ুনমেট্রোরেলে আগুন-পুলিশ হত্যা নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলেন সমন্বয়ক হাসিব ‘মেট্রোরেলে আগুন ও পুলিশ হত্যার’ বক্তব্যে সমন্বয়ক হাসিবকে শোকজলিখিত বক্তব্যে হাসিব বলেন, ‘আমার বক্তব্যে বোঝাতে চেয়েছি, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দম্ভের স্তম্ভ তাদের তথাকথিত উন্নয়ন প্রকল্প মেট্রোরেলে তারা নিজেরাই আগুন দেয়। তারপর সেটা নিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার মায়াকান্না জনমানুষের মনে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। এই ক্ষোভ ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে আন্দোলন ত্বরান্বিত করেছে।’
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী দোসর পুলিশ নির্বিচারে ছাত্র- জনতার ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা পরিচালনা করে। তখন দেশের সর্বস্তরের জনতা নিজেদের জীবন বাঁচাতে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। যা ছিল মুক্তিকামী জনতার পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।’
সমন্বয়ক হাসিব বলেন, ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পুলিশকে ব্যবহার করে গণহত্যা পরিচালনা করেছে। এ কারণে এই অভ্যুত্থানে যত রক্তপাত হয়েছে এর দায় আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের নিতে হবে, এটা জনগণ উপলব্ধি করেছিল। এই দুটো বিষয় বোঝাতে গিয়ে সময় স্বল্পতার কারণে স্রেফ ঘটনা উল্লেখ করতে পেরেছি, পুরো বিষয় তুলে ধরা সম্ভব হয়নি। আমার সঙ্গে যোগাযোগ না করে ও মতামত না নিয়েই আমার বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকরভাবে উপস্থাপন করছেন, যা খুবই হতাশার।’
এনএস/কেএসআর
Advertisement