৭ নভেম্বরের সিপাহী-জনতার বিপ্লবকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্ণাঙ্গ রূপ বলে অভিহিত করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে, ত্রিশ লাখ শহীদের বাংলাদেশকে কোনো আধিপত্যবাদী শক্তি দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে প্রতিবাদ করায় নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয়েছিল। তার মতো দেশপ্রেমিককে আমরা ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের’ প্রথম শহীদ বলতেই পারি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে আবরার, মুগ্ধ ও আবু সাঈদদের জন্ম হয়েছে। যে দেশের জন্য ৩০ লাখ মানুষ জীবন উৎসর্গ করতে পারে, মা-বোনেরা সম্ভ্রম হারাতে পারে, সেই জাতি ও দেশকে আধিপত্যবাদী শক্তি দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
Advertisement
বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, আজকে ৫ আগস্টকে আমরা অনেকে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ বলছি। ৭ নভেম্বরকেও আমরা বলতাম প্রকৃত স্বাধীনতা। ৭ নভেম্বর এদেশের মানুষ পূর্ণ মুক্তি লাভ করেছিল।
তিনি বলেন, যারা দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, আত্মহুতি দিয়েছিলেন, ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠন করে মানুষের সেই বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিল।
রিজভী আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতা মিলে জিয়াউর রহমানকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন। তিনি ক্ষমতায় বসে মানুষের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। দেশকে করেছিলেন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
‘আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানের কাছে আবেদন করে রাজনীতিতে ফিরে এসেছিল। সে কারণেই ৭ নভেম্বর থেকে তাকে হত্যার টার্গেট করা হয়েছিল’- বলেন তিনি।
Advertisement
এসময় জাসাস সভাপতি হেলাল খান, জাসাস নেতা ইথুন বাবু, জাকির হোসেন রোকনসহ অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
কেএইচ/এমকেআর/এএসএম