শিক্ষা

বিএসবি গ্লোবালের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ-প্রতারণার অভিযোগ

ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে উচ্চশিক্ষায় বিদেশ গমনেচ্ছু শিক্ষার্থীদের অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগীরা।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা জানান, বিদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি বাবদ বিভিন্ন সময়ে তারা অর্থ বিএসবি গ্লোবালে টাকা জমা দিয়েছেন। এখন তারা বুঝতে পারছেন বিগত সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠানটি কৌশলে বিদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিউশন ফি জমা দেওয়ার নামে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

তারা আরও জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ফি জমা না দিয়ে বিএসবি আত্মসাৎ করেছে। পরে টাকা ফেরত চাইলে তারা টালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করতে শুরু করে। যার ফলশ্রুতিতে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বিপর্যস্ত হয় এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে অনেক দেন-দরবার করার পর যে চেক দেওয়া হয়, যা ব্যাংক কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের প্রতারণা, ভুক্তভোগীদের মানববন্ধন

আয়োজকরা আরও অভিযোগ করেন, টাকা উদ্ধারের জন্য থানায় অভিযোগ করা হয়। ন্যায্যবিচার না পাওয়ায় তারা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি করতে মাঠে নামে। সেখানেও বিএসবি চেয়ারম্যান খায়রুল বাশারের গুন্ডাবাহিনী আক্রমণ চালায়। এছাড়া তারা পাওনাদারদের ক্রমাগত হুমকি দিয়ে আসছেন।

‘সর্বশেষ গত ২৭ আগস্ট বিএসবির চেয়ারম্যান বাশার ও পাওনাদারদের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এ মর্মে স্ট্যাম্প পেপারে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যে, সমুদয় পাওনা টাকা তিন কিস্তিতে (যথাক্রমে ২৩ সেপ্টেম্বর, ২২ অক্টোবর ও ২৫ নভেম্বর) সবাইকে পরিশোধ করবে। কিন্তু প্রথম কিস্তি পরিশোধের দিন ২৩ সেপ্টেম্বর অর্থ দিতে ব্যর্থ হয়। ওইদিন গুন্ডাবাহিনী দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়, যা গুলশান থানা অবগত।’

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আবু নাইম, শিহাবুল ইললাম শিহাব, মেনশন মারমা, মারিয়া আক্তার, নাইমা আক্তার, ভুক্তভোগী অভিভাবক নাসির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএএইচ/এমএএইচ/এএসএম

Advertisement