মাদক কারবারি ছোট-বড় কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (গ্রেড-১) মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক সেমিনার এ কথা বলেন তিনি।
Advertisement
তিনি বলেন, চোরা কারবারিরা নানান কৌশল অবলম্বন করে তাদের অপকর্ম করে। এদের বিরুদ্ধে সরকারের পাঁচটি বিভাগ কাজ করছে। প্রত্যেক বিভাগই মাদক নিয়ন্ত্রণে সোচ্চার। মাদক কারবারি ছোট-বড় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। খুচরা কারবারিরাই মাদকের বিস্তার ঘটায়। সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে সে যত বড়ই হোক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি কোনো কর্মকর্তা তাতে গাফিলতি করেন তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সেমিনারে জানানো হয়, এ বছর ঝালকাঠি জেলায় ৬২৭টি অভিযানে তিনটি মামলা, ৬৪টি মোবাইল কোর্ট, ৬৭টি মামলা, ৬৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে ১১ কেজি ২২৩ গ্রাম গাঁজা, ১৬৬ পিস ইয়াবা, ৩৮৯টি ডায়াজিপাম ইনজেকশন, ২৯টি ন্যাবুলাইজার ইনজেকশন, ২ লিটার দেশি মদ, চার হাজার ৩৫০ টাকা জব্দ করা হয়।
জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ ইমরান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমীন। মূল ধারণাপত্র পাঠ করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক পরিতোষ কুমার কুন্ডু।
Advertisement
বক্তৃতা করেন সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন শাহীন, নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামাল হোসেন, র্যাব-৮ বরিশালের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদ মিয়া, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন, প্রেস ক্লাব সভাপতি কাজী খলিলুর রহমান প্রমুখ।
মো. আতিকুর রহমান/জেডএইচ/জিকেএস