এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে ‘এশিয়ান ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং-২০২৫’ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডস (কিউএস)। এতে স্থান পেয়েছে ৯৮৪টি বিশ্ববিদ্যালয়। তালিকায় জায়গা পেয়েছে বাংলাদেশের ২৯টি বিশ্ববিদ্যালয়।
Advertisement
বুধবার (৬ নভেম্বর) এ তালিকা প্রকাশ করেছে কিউএস। প্রতি বছরের নভেম্বর মাসের শুরুতে তালিকাটি প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত তালিকা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। র্যাংকিংয়ে গত বছরের চেয়ে ঢাবি এবার ৩৮ ধাপ এগিয়েছে। এ বছর তালিকায় ১১২তম স্থানে রয়েছে দেশের শীর্ষ এ বিশ্ববিদ্যালয়টি। গত বছর তালিকায় ঢাবির অবস্থান ছিল ১৪০তম।
ঢাবির পর সেরা ২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের আরও দুটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। সেগুলো হলো—বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।
Advertisement
এবার তালিকায় বুয়েটকে পেছনে ফেলে দেশের হয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। র্যাংকিংয়ে বেসরকারি এ বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ১৫৫তম। তৃতীয় অবস্থানে থাকে বুয়েটের অবস্থান ১৫৮তম। গত বছরের র্যাংকিংয়ে নর্থ সাউথের অবস্থান ছিল ১৯১তম এবং বুয়েট ছিল ১৮৭তম। সেই হিসাবে নর্থ সাউথ ৩৬ ধাপ এবং বুয়েট ২৯ ধাপ এগিয়েছে।
তালিকায় দেশের আরও যেসব বিশ্ববিদ্যালয়
কিউএস র্যাংকিংয়ের এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের অন্য উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি (২৫৩তম), ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (২৮০তম), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (২৯২তম), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (৩২০তম), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (৩৪২), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (৩৫৭), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (৪০১-৪১০তম) এবং ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (৪২১-৪৩০তম)।
চীনা বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষে, দ্বিতীয় হংকং
Advertisement
এশিয়ার সেরা ৯৮৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় আবারও সবার সেরা হয়েছে চীনের পিকিং ইউনিভার্সিটি (বেইজিং)। আর গত বছরের মতো এবারও দ্বিতীয় অবস্থানে দ্য ইউনিভার্সিটি অব হংকং। তৃতীয় অবস্থানে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিট অব সিঙ্গাপুর।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, কিউএস প্রধানত ১১টি সূচকের ওপর ভিত্তি করে র্যাংকিং করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা, উদ্ভাবন, চাকরিতে স্নাতকদের কর্মক্ষমতা, প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্য, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাফল্য, আন্তর্জাতিক গবেষণা নেটওয়ার্ক, গবেষণা প্রবন্ধের সাইটেশন, পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সংখ্যা, আন্তর্জাতিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনুপাত, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী বিনিময়ের হার বিচার করে এ তালিকা করা হয়।
এএএইচ/এমআরএম