এদেশে যত রক্তাক্ত ঘটনা, সবগুলোর সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
Advertisement
তিনি বলেছেন, একটা দেশে যখন নৈরাজ্য, রক্তপাত, অন্যায়-অবিচার শুরু হয় তখন সাধারণত দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসে। সেনাবাহিনী দেশের জনগণের একটি বাহিনী। তারা দেশের জনগণের পক্ষে থাকবে। বিভিন্ন সময় বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় এরকম হয়েছে। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে সে ঘটনার সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারের লোকজন জড়িত। এদেশে যত রক্তাক্ত ঘটনা, সবগুলোর সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত।
রিজভী বলেন, ৩ নভেম্বর আরেকটা ঘটনা ঘটলো। দেশ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়লো। তখন সেনাবাহিনী তাদের যে নির্দিষ্ট সীমা সেই সীমা থেকে বেরিয়ে এলো এবং দেশের জনগণ তাদের অধিকার আদায়ের জন্য বেরিয়ে এলো। তখন এক মহাবিপ্লব সংঘটিত হলো। পরাজিত শক্তি যারা এদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল তাদেরই একটা অংশ পরাজিত হলো। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমান তখন জেলে ছিলেন। তিনি জেল থেকে বের হলেন। এ দেশের জনগণ আশা দেখলো, তারা গণতন্ত্র ফিরে পাবে। মুক্তির যে আকাঙ্ক্ষা সেটা ফিরে পাবো। এ স্বপ্ন পূরণে এক অদম্য সাহসী রাষ্ট্রনায়কের ভূমিকায় আবির্ভাব হলো স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের।
বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
Advertisement
কেএইচ/এমএইচআর/জিকেএস