সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ‘বান্ধবী’ তৌফিকা করিমের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারের অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান এ তথ্য জানান। তিনি জানান, বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও অভিযোগের ভিত্তিতে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ‘বান্ধবী’ ও ব্যক্তিগত ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত তৌফিকা করিম এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডি।
Advertisement
তৌফিকা করিম আইন পেশার সূত্রে আনিসুল হকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। সাবেক এই মন্ত্রীর প্রত্যক্ষ মদত ও প্রশ্রয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সিন্ডিকেট ও লুটপাটের সাম্রাজ্য গড়ে তোলার অভিযোগ রয়েছে তৌফিকা করিমের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন
সহযোগীসহ সাবেক আইনমন্ত্রীর দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকসিআইডির এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ২০১৪ সাল থেকে বিভিন্ন জেলা ও মহানগরীর অধস্তন আদালতে খাতা পরিবর্তন, জালিয়াতি, পরীক্ষা না দিয়েও চাকরি প্রদান, বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা গ্রহণ করে তাদের জামিনসহ মামলার রায় পরিবর্তন করে দিতেন তৌফিকা করিম।
Advertisement
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ২০২০ সালে ঢাকার দায়রা জজ আদালত ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অনিয়মের মাধ্যমে সাবেক মন্ত্রীর এলাকা আখাউড়া-কসবার ১৮ জন গাড়িচালক নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তৌফিকা করিম আনিসুল হকের মালিকানাধীন সিটিজেন চার্টার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
পুলিশ সুপার আজাদ রহমান বলেন, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অবৈধ সম্পদ দিয়ে তার মাধ্যমে কানাডা, দুবাই এবং মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম হিসেবে কয়েকটি বাড়ি করেছেন মর্মে তথ্য পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে ২৬ জুলাই তৌফিকা দেশ ছেড়ে কানাডা পালিয়ে যান বলে গুঞ্জন রয়েছে। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুসারে অর্থপাচার একটি সম্পৃক্ত অপরাধ বিধায় তৌফিকা করিম এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট মানিলন্ডারিং অনুসন্ধান শুরু করেছে।
টিটি/এমকেআর/এমএস
Advertisement