কাতার থেকে ৩০ হাজার মেট্রেক টন ব্যাগড গ্রিল্ড ইউরিয়া আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ১৪০ কোটি ২৮ লাখ ১২ হাজার টাকা। কাতারের মুনতাজাত থেকে এ সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
Advertisement
বুধবার (৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ’র সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে কাতার থেকে ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদ মিলেছে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, কাতারের মুনতাজাত থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব নিয়ে আসে শিল্প মন্ত্রণালয়। সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দিয়েছে।
প্রতি মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৩৮৯ দশমিক ৬৭ মার্কিন ডলার। এতে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানি করতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪০ কোটি ২৮ লাখ ১২ হাজার টাকা ব্যয় হবে।
Advertisement
এর আগে ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে কৃষিখাতে ব্যবহারের জন্য ৯০ হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের রাসাযনিক সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। কাতার, সৌদি আরব ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকে এ সার কিনতে ব্যয় ধরা হয় ৪০১ কোটি ৫ লাখ ৬২ হাজার টাকা।
এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন (১০ শতাংশের বেশি) বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সার আমদানিতে ব্যয় ধরা হয় ১ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশে মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৩১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন (১০ শতাংশের বেশি) বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১ কোটি ১৪ লাখ ৮০ হাজার ১০০ মার্কিন ডলারে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৩৭ কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ধরা হয় ৩৮২ দশমিক ৬৭ মার্কিন ডলার।
এছাড়া কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১ কোটি ৯ লাখ ৬১ হাজার ২৫০ মার্কিন ডলারে কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৩১ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ধরা হয় ৩৬৫ দশমিক ৩৭৫ মার্কিন ডলার।
Advertisement
এমএএস/এমএএইচ/এমএস