তথ্যপ্রযুক্তি

বজ্রপাতের সময় ফোন ব্যবহারে নিষেধ করা হয় কেন?

যখন তখন বৃষ্টি, সেই সঙ্গে বজ্রপাত। জানেন কি? একটি সাধারণ বজ্রপাতের ফ্ল্যাশ প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ভোল্ট এবং প্রায় ৩০,০০০ এম্পিয়ার এর বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে। যেখানে সাধারণ বাসাবাড়িতে ২২০ ভোল্ট এর বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

Advertisement

জানমালের পাশাপাশি গ্যাজেট সুরক্ষায় আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। বজ্রপাতে ঘরের ইলেকট্রনিক ডিভাইস তেমনি অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খারাপ হতে পারে একাধিক যন্ত্রপাতি। বাজ পড়ার সময় বাড়ির টিভি, ফ্রিজের প্লাগ খুলে রাখার কথা বলা।

আরও পড়ুন

এক চার্জে এই ব্যাটারি চলবে ৫০ বছর

এমনকি বজ্রপাতের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়। কিন্তু কেন, জানেন কি? মোবাইলের সঙ্গে তো কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ থাকে না। তাহলে কেন এই সময়ে মোবাইল ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। বিজ্ঞানীদের মতে, মোবাইল থেকে আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি বের হয়, যা বজ্রপাতকে নিজের দিকে টেনে নেয়। যার জেরে বড় বিপদ হতে পারে।

Advertisement

বজ্রপাতের সময়ে রাস্তায় কিংবা বাড়ির ছাদে উঠে মোবাইল ব্যবহার কোনোমতেই করা উচিত নয়। এতে বিপদ আরও বাড়তে পারে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি মেডিক্যাল জার্নালে বলা হয়েছে, বজ্রপাতের সময় মোবাইল ব্যবহারের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ১৫ তরুণীর মৃত্যু হয়েছে।

এমন অবস্থায় বাড়িতে পাওয়ার কাট করার পাশাপাশি মোবাইল বন্ধ রাখতে হবে। এটা না করলে অনেক সময় মোবাইল বিস্ফোরণের আশঙ্কা থাকে। বাড়ির বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি যেমন টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটার-ল্যাপটপের দিকেও আকাশ বিদ্যুৎ আকৃষ্ট হয়। সেজন্য যখনই এমন আবহাওয়া দেখা দেয়, তখনই এই ধরনের যন্ত্রপাতি বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

একই সময়ে, বৈদ্যুতিক খুঁটি আকাশ বিদ্যুতের পরিবাহী হিসাবে কাজ করে। তাই আবহাওয়া খারাপ থাকলে বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে থাকা উচিত।

আরও পড়ুন

Advertisement

পুরোনো গ্যাজেট বিক্রির আগে যা করা জরুরি ফোনে ইন্টারনেট স্পিড বাড়াবেন যেভাবে

সূত্র: গ্যাজেট ৩৬০

কেএসকে/এমএস