সরকারি চাকরির আজকে এক মাস হলো। সেপ্টেম্বর এর মাঝামাঝি এক দুপুরে প্রফেসর ইউনুস হঠাৎ ফোন করে বললেন, ‘আশিক, দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পাওয়া গেছে। আসবা নাকি?’ আমি নন্দিনীকে জিজ্ঞেস না করেই রাজি হয়ে গেলাম। জানতাম ও কোনোদিন মানা করবে না। সো ৫৯ সেকেন্ডের এক হোয়াটসঅ্যাপ কলে আমরা সিঙ্গাপুরের বিলাসী জীবন ছেড়েছুঁড়ে দেশের পথে রওনা দিলাম বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে, বন্ধুদের ভাষায় বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার হিসেবে।
Advertisement
গত এক মাস শুক্র-শনিবারসহ দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করেও কূল পাচ্ছি না। প্রায় আড়াইশ সিইও, ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করছি তাদের সমস্যাগুলো কোথায় আর কী করে তার সমাধান করতে পারি। নতুন ইনভেস্টমেন্ট কিভাবে আনতে পারি। চেষ্টা চলছে। ফেইল করা যাবে না।
আরও পড়ুন
আপনারা না পারলে দায়িত্ব আমাদের দেন: সারজিস আলম ফ্যাসিবাদ বলার আগে আয়নায় নিজেদের চেহারাটা দেখেন: খোকনআমরা জনগণের সরকার। তাই প্রত্যাশা অনেক। অনেকটা জাতীয় ক্রিকেট দলের মতো। সবাই চায় আমরা জিতি। কিন্তু পরের বলটা একটু খারাপ হলেই সবাই হা হা করে ওঠে। টিম সিলেকশন, বোলার সিলেকশন, ফিল্ড সেটিং, এসব নিয়ে নানা সমালোচনা। ম্যাচে সবাই ভালো বল করবে না এটাই স্বাভাবিক। তা নিয়ে দলের সমর্থকরা গালাগালি করবে তাও স্বাভাবিক। দলটা তো আমাদের।
Advertisement
কয়দিন আগেও এইসব করা কবিরা গুনাহ ছিল। তাই দিনশেষে টায়ার্ড হয়ে ফেসবুক খুলে যখন মনে হয় আমার বউও বিরোধী দল, তখন নিজেকে বোঝাই: এটাই তো আসলে বাক-স্বাধীনতা। হোক না সমালোচনা। আমরা ভুল করব। তারপর শুধরাবো। আমাদের দেশটা আস্তে আস্তে ঠিক রাস্তায় হাঁটবে।
পুনশ্চ: এর মধ্যে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের সার্টিফিকেটটা এসে গেছে। কিন্তু এখন মনে হয়, ওইটা অন্য কোনো জীবনের গল্প।
এসইউ/এমএস
Advertisement