জাতীয়

১৬ কোটি টাকার মার্সিডিজ বেঞ্জের দর উঠেছে ৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের অনলাইন নিলামে ১৬ কোটি টাকার মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ির সর্বোচ্চ দর উঠেছে মাত্র ৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

Advertisement

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) গাড়ি, ফ্যাব্রিকসহ ২৬ লটে নিলামে অংশ নেন বিডাররা। এতে ৮৩টি দরপত্র জমা পড়ে। এরমধ্যে মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়িটিও ছিল।

কাস্টমস জানিয়েছে, ২০২২ সালের তৈরি গাড়িটিতে তিনটি বিড পড়ে। গাড়িটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দর দেন আশিয়ান ফুড এবং তৃতীয় হিসেবে একেএম নিটওয়্যার ৬ কোটি ২ লাখ টাকা দর হাঁকেন।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার ৪৬ লট পণ্যের ই-অকশন ছিল। এর মধ্যে একটি লটের অকশন স্থগিত করা হয়। অবশিষ্ট ৪৫টি লটের মধ্যে ২৬ লটে ৮৩টি দরপত্র জমা পড়েছে। এরমধ্যে ১৬ কোটি মার্সিডিজ বেঞ্জের দর উঠেছে ৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা। নিলাম কমিটি যাচাই বাছাই করে সর্বোচ্চ দরদাতার অনুকূলে বিক্রয় অনুমোদন দিবেন।

Advertisement

উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেইনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেইনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেইনার পড়ে থাকলে বন্দর কর্তৃপক্ষও চার্জ পায় না।

এমডিআইএইচ/এসআইটি/এমএস

Advertisement