চলার পথে যে কোনো জায়গা থেকে বাইকে বা গাড়িতে পেট্রোল ভরে নিচ্ছেন। কখনো যাচাই করেছেন যে, এই পেট্রোল ভালো নাকি খারাপ। দীর্ঘদিন নকল বা ভেজাল পেট্রোল ব্যবহারে আপনার বাইক বা গাড়ির ইঞ্জিনে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা হ্রাস করতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
Advertisement
>> প্রথমেই যে ব্যাপারে খেয়াল করবেন তা হচ্ছে, পেট্রোলের গন্ধ। আসল পেট্রোলের গন্ধ কড়া। নকল পেট্রোলে অন্যান্য ক্ষতিকারক পদার্থের ভেজালের কারণে এর গন্ধ কিছুটা আলাদা এবং হালকা হতে পারে। পেট্রোলের গন্ধ যদি স্বাভাবিকের থেকে আলাদা বলে মনে হয়, তাহলে তা নকল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
>> পেট্রোলের রং দেখেও আসল নকলের পার্থক্য করতে পারেন। আসল পেট্রোল হালকা হলুদ রঙের হয় বা কখনো কখনো সম্পূর্ণ বর্ণহীন। পেট্রোলের রং গাঢ় হলে বা অন্য কোনো রঙের হলে তা নকল হতে পারে।
>> পানি দিয়ে পরীক্ষা করতে পারেন। এজন্য অল্প পরিমাণ পেট্রোল কিছুটা পানির মধ্যে ঢালতে হবে। আসল পেট্রোল হলে তা পানিতে ভেসে থাকবে, আর যদি নকল হয় তাহলে তা পানির সঙ্গে মিশে যাবে কিংবা রং পরিবর্তন হতে শুরু করবে।
Advertisement
>> আরেকটি পরীক্ষা করতে পারেন কাগজ দিয়ে। একটি সাদা কাগজে কয়েক ফোঁটা পেট্রোল নিয়ে শুকাতে দিন। আসল পেট্রোল সম্পূর্ণরূপে বাষ্পীভূত হয় এবং কোনো দাগও ছেড়ে যায় না। নকল পেট্রোল শুকানোর পর কাগজে তেলের মতো দাগ ফেলে যেতে পারে।
>> জ্বালিয়ে পরীক্ষা করতে পারেন, একটি ধাতব পাত্রে অল্প পরিমাণ পেট্রোল রেখে এটি পোড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। আসল পেট্রোল পুরোপুরি পুড়ে সাদা ধোঁয়া তৈরি করবে। নকল পেট্রোল পোড়ার সময় কালো ধোঁয়া নির্গত হতে পারে বা পুরোপুরি পুড়ে নাও যেতে পারে।
>> গাড়িতে পেট্রোল ভর্তি করার পর যদি এমন হয় যে, গাড়ির কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে। কিংবা ইঞ্জিন মাঝে মাঝে আটকানো, মাইলেজ হ্রাস বা ইঞ্জিন দ্রুত গরম হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে তাহলে বুঝতে হবে যে পেট্রোলটি ব্যবহার করছেন তা নকল।
আরও পড়ুন ল্যাপটপ স্লো হলে যা করবেনযে ৪ শব্দ গুগলে সার্চ করলে মজার ব্যাপার ঘটবেসূত্র: স্মিথোশিয়ান ম্যাগাজিন
Advertisement
কেএসকে/জেআইএম