ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের জন্য বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশে সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি, অনুপ্রবেশকারীদের ভোট পাওয়ার জন্য ঝাড়খণ্ডজুড়ে তাদের বসবাসের জায়গা করে দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
Advertisement
ভারতের এই রাজ্যে চলতি মাসেই বিধানসভা নির্বাচন হবে। এ ভোট সামনে রেখে সম্প্রতি দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ও তাদের সহায়তাকারীদের কঠোর সমালোচনা করেছেন। গত মাসেই তিনি বলেন, বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করেই নিশ্বাস নেবো। এমনকি, এর আগে তিনি বলেছিলেন, অবৈধভাবে প্রবেশ করা বাংলাদেশিদের উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হবে।
আরও পড়ুন:
কানাডায় মন্দিরে হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ বললেন মোদী পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে ক্ষমা চাইলেন নরেন্দ্র মোদী অনুপ্রবেশ বন্ধ করেই নিশ্বাস নেবো: অমিত শাহমঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, অমিত শাহ’র পরে ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ নিয়ে বিরোধীদের কঠোর সমালোচনা করেছেন মোদী। সোমবার রাজ্যটির পলামু অঞ্চলের গড়ওয়ায় হওয়া বিজেপির জনসভায় তিনি অনুপ্রবেশ নিয়ে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস ও আরজেডির জোট সরকারকে দায়ী করেছেন।
Advertisement
মোদী বলেন, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস ও আরজেডি তোষামোদের রাজনীতিকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এই তিনটি দলই বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশকে সমর্থন করে। আর ভোট পাওয়ার আশায় ঝাড়খণ্ডের জোট সরকার অনুপ্রবেশকারীদের রাজ্যে বসবাসেরও জায়গা করে দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি এখানে এমন যে, সরস্বতী বন্দনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। যখন উৎসবে পাথর ছোঁড়া হয়, দুর্গা মাকেও আটকে দেওয়া হয়, যখন কারফিউ জারি করা হয়, তখন বোঝা যায় যে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ।
আরও পড়ুন:
সন্ত্রাসবাদের জায়গা নেই: নেতানিয়াহুকে মোদী মোদী ও বাইডেনের মধ্যে বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনামোদী সোমবার হেমন্ত সরকারকে নিশানা করে বলেন, প্রশাসন যখন অনুপ্রবেশের কথা অস্বীকার করে, তখন বুঝতে হবে সরকারতন্ত্রেই অনুপ্রবেশ হয়ে গেছে। এছাড়া ঝাড়খণ্ডের বিরোধী জোটকে ‘অনুপ্রবেশকারীদের জোট এবং মাফিয়াদের দাস’ বলেও মন্তব্য করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
Advertisement
এর আগে গত রোববার ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচীতে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিরও সমালোচনা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢুকে পড়া চাইলেই আটকে দিতে পারে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড সরকার। কিন্তু তারা তা করছে না। একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর ভোট পাওয়ার জন্য ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রশ্রয়ে অনুপ্রবেশ বেড়ে চলেছে।
সূত্র: এনডিটিভি
এসএএইচ