বিনোদন

ট্রাম্পকে সমর্থন দেয়ায় টুইটার ত্যাগ করল বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

জার্মানের বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল বিশ্বজুড়ে নন্দিত। সারা দুনিয়ার সিনেমাওয়ালারা এই উৎসবে হাজির হন তাদের সিনেমা নিয়ে। রঙ বেরঙের সাজে আসেন তারকারা। বসে পরিচালক-তারকা ও প্রযোজকদের মিলনমেলা। উৎসবের নানা বিষয় উঠে আসে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

Advertisement

তবে এবারের বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসব ইলন মাস্কের মালিকানাধীন মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার (এক্স) ব্যবহার থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিছু দিন আগে একই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের পরিচালক আলবার্তো বারবেরা।

ইউরোপের অন্যতম বড় বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (বার্লিনাল) জানিয়ে দিয়েছে, তারা ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ এর পর থেকে টুইটার ব্যবহার করা বন্ধ করবে। তারা অন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে মনোযোগ দেবে।

‘বার্লিনালের সব খবরের সাথে সংযুক্ত থাকতে আমাদের ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, লিংকেডিন, ইউটিউব এবং ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন’- বার্লিন উৎসব থেকে বিবৃতিতে এমনটাই বলা হয়েছে।

Advertisement

তবে বার্লিনাল টুইটার ছাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করেনি। ধারণা করা হচ্ছে এলন মাস্কের রাজনৈতিক মতাদর্শ এর কারণ। মাস্ক আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় সমর্থক। ২০২২ সালে মাস্ক সাবেক টুইটার কিনে নেয়ার পর এক্স নাম দেন। তারপর থেকেই প্ল্যাটফর্মটি ডানপন্থী এবং অতিরিক্ত ডানপন্থী মতামতের প্রতি খোলামেলা সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে ইউরোপীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বিশেষ করে যারা উদারপন্থি মতাদর্শ ধারণ করে তাদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তাই তারা টুইটার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন। তারই একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করল বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসব।

এদিকে বার্লিনাল দ্য হলিউড রিপোর্টারকে টুইটার ছাড়ার কারণ হিসেবে সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেছে, ‘প্ল্যাটফর্ম এক্স (টুইটার) পর্যবেক্ষণ এবং মূল্যায়ন করার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি অন্য সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলোতে মনোযোগ দিতে।’

মাস্ক সম্প্রতি জার্মান রাজনীতির ব্যাপারেও মন্তব্য করেছেন। তিনি প্রায়ই ফার-রাইট এএফডি দলের সমর্থনে পোস্ট এবং মন্তব্য করেন, যা দেশটির অভিবাসনবিরোধী নীতির পক্ষে। সেজন্যও জার্মানে টুইটার বিরোধী মতাদর্শ জনপ্রিয় হচ্ছে।

এর আগে চলতি বছরে ইটালির ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের পরিচালক আলবার্তো বারবেরাও টুইটার ব্যবহার না করার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘এমন একটি প্ল্যাটফর্মে থাকতে আর ইচ্ছা হচ্ছে না যার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য আমাদের সঙ্গে মেলে না।’

Advertisement

তবে তিনি এটি বলেননি যে মাস্কের কোন পোস্ট তার এই সিদ্ধান্ত নিতে প্ররোচিত করেছে।

এলএ/জেআইএম