একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর দণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি চলছে। এ লক্ষে ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে ফাঁসির মঞ্চ। গেল বছরের নভেম্বরে যে মঞ্চে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় সেই মঞ্চেই ফাঁসিতে ঝোলানো হবে মতিউর রহমান নিজামীকে। গতকাল রাতে নিজামীর দণ্ড কার্যকরের মহড়াও হয়েছে। চার জল্লাদও উপস্থিত ছিলেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি। নিজামীর রিভিউ খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় সোমবার দুপুরে। এরপর তা পৌঁছে দেয়া হয় ট্রাইব্যুনালে। সাজা থেকে বাঁচতে নিজামীর সামনে এখন খোলা রয়েছে কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগ। তবে নিজামীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেছেন, যারা ইসলামী আন্দোলন করেন তারা শহীদী তামান্না নিয়ে কাজ করে। ইসলামী আন্দোলনের সৈনিকরা ফাঁসির রশিতে ভয় পান না। নিজামী আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে মাথা নত করবেন না, তাই রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। নিজামী হলেন পঞ্চম মানবতাবিরোধী, যার সর্বোচ্চ সাজার রায় কার্যকরের পর্যায়ে এসেছে।জামায়াত আমির নিজামী একাত্তরে ছিলেন দলটির ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের নাজিমে আলা বা সভাপতি এবং সেই সূত্রে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য গঠিত আল বদর বাহিনীর প্রধান। তার পরিকল্পনা, নির্দেশনা ও নেতৃত্বেই যে আলবদর বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছিল- এই মামলার বিচারে তা প্রমাণিত হয়। এআর/এনএফ/এবিএস
Advertisement