কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মানববন্ধনে বিএনপি সমর্থিত একটি পক্ষের হামলার অভিযোগ ওঠেছে। হামলায় ইসলামী আন্দোলনের উপজেলা সেক্রেটারি ডা. সেলিম হায়দারসহ সাতজন আহত হয়েছেন। সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা সদরের বাঁশমহল এলাকায় ঘটে এ ঘটনা।
Advertisement
জানা গেছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় ইসলামী আন্দোলন হুমাইপুর ইউনিয়নে কয়েকজন নেতাকর্মীর নামও যুক্ত হয়। এর প্রতিবাদে দুপুরে উপজেলা সদরের বাঁশমহল এলাকায় মানববন্ধন করতে গেলে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়।
অভিযোগ করা হয়, বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মো. কাইয়ূম খান হেলালের সমর্থকেরা হামলা করেন। এ হামলায় ইসলামী আন্দোলনের নেতা সেলিম হায়দার আহত হন। এসময় হামলার ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে সাংবাদিকদের ওপরও হামলা হয়।
এতে সাংবাদিক আবুল হোসেন, আজকের পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি খলিলুর রহমান ও দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি সাব্বির আহমদ মানিক আহত হন। এসময় সাংবাদিকদের মোবাইল, টাকা, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। এ ঘটনায় সাংবাদিক আবুল হোসেন বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় মামলা করেন।
Advertisement
ঘটনার পর সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে একটি মানববন্ধন করা হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।
ইসলামী আন্দোলনের বাজিতপুর উপজেলা শাখার সেক্রেটারি সেলিম হায়দার বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সক্রিয় এবং সামনের সারিতে ছিলাম আমরা। তারপরও আমাদের নেতাকর্মীদের নাম মামলা হয়। এর প্রতিবাদে উপজেলা সদরের বাঁশমহল এলাকায় মানববন্ধন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এসময় বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মো. কাইয়ূম খান হেলালের সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা করেন। এ হামলায় আমিসহ আমাদের পাঁচজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সংবাদকর্মী আবুল হোসেন বলেন, ভিডিও ধারণ করার সময় জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলে মারধর ও হেনস্থা করে হামলাকারীরা। পরে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা খবর পেয়ে আমাকে উদ্ধার করে।
তবে মো. কাইয়ূম খান হেলাল হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি বর্তমানে ঢাকায় রয়েছি। এ ঘটনার সঙ্গে আমি বা আমার কর্মী-সমর্থকরা কেউ জড়িত নয়।
Advertisement
বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ হোসেন জানান, সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ করা হয়েছে। তবে ইসলামে আন্দোলনের পক্ষ থেকে এখনো অভিযোগ পাইনি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসকে রাসেল/জেডএইচ/এমএস