সব নিয়ম মেনে পদোন্নতির জন্য আবেদন করার পরেও বিএনসিসি অফিসার হিসেবে পদোন্নতি না পাওয়ায় বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চবি বিএনসিসির পিইউও ড. মো. শহীদুল হক।
Advertisement
সোমবার (৪ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ড. শহীদুল হক বলেন, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম কর্ণফুলী রেজিমেন্টের ২১ জন বিএনসিসি অফিসার পদোন্নতির জন্য আবেদন করেন। তাদের মধ্যে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ২০ জন শিক্ষক পদোন্নতি পান। কিন্তু পিইউও পদ থেকে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদের জন্য আবেদনকারী সব বিএনসিসি অফিসারের মধ্যে জ্যেষ্ঠতম ও এক্ষেত্রে একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও আমাকে বিএনসিসিতে কমিশন ও পদোন্নতি দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, চবিতে ২০০৪ সালের ২৭শে নভেম্বর বিএনসিসির পিইউও হিসেবে যোগদান করেছি। ২০০৭ সালের ২১শে জানুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) প্রি-কমিশন ট্রেনিংয়ে সর্বোচ্চ মার্কস পেয়ে ‘বেস্ট পারফর্মার’ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছি। পদোন্নতির যাবতীয় শর্ত পূরণ ও যোগ্যতা অর্জন করে, যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে আবেদন করেছি।
Advertisement
গত ২৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব ড. মো. মাহবুবুর রশীদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বিএনসিসি অফিসারদের মধ্যে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে ড. মো. শহীদুল হকের নাম না থাকায় ভীষণ মর্মাহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
তিনি মনে করেন, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বিএনসিসির পিইউও হিসেবে কাজ করা ও একই পদে আবেদনকারীদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতম হওয়া সত্ত্বেও অন্য সবাইকে পদোন্নতি দেওয়া ও তাকে তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা চরম বৈষম্য ও অবিচারের শামিল।
তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ করে আজ আমি নিজেই চরম বৈষম্যের শিকার। নতুনভাবে স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বৈষম্যহীন রাষ্ট্রে এ বৈষম্য কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিএনসিসি অফিসার হিসেবে পদোন্নতির জন্য ২০২০ সালের আবেদন অতিসত্বর পুনর্বিবেচনার জন্য জোর দাবি জানান ড. শহীদুল হক।
এ ব্যাপারে তিনি রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, সেনাপ্রধান, বিএনসিসি ডিজি ও সংশ্লিষ্ট অফিসারদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
Advertisement
এএজেড/এমআরএম/জেআইএম