দেশজুড়ে

সুন্দরবনে বনদস্যুদের কবল থেকে ১০ জেলে উদ্ধার

সুন্দরবনে অভিযান চালিয়ে বনদস্যুদের কবল থেকে অপহৃত ১০ জেলেকে উদ্ধার করেছে বন বিভাগের সদস্যরা। এ সময় তিনটি নৌকা, একটি সোলার প্যানেল ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে।

Advertisement

রোরবার (৩ নভেম্বর) পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের চুনকুড়িঁ নদীর তক্কাখালী এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর চুনকুড়ি এলাকার দাউদ গাজীর ছেলে আব্দুল আলিম (৬২), একই এলাকা মৃত বাহার আলী সরদারের ছেলে নুর ইসলাম (৪৫), আব্দুল আলিম গাজীর ছেলে রবিউল ইসলাম (২৮), ছোট ভেটখালী এলাকার ফজলু সানর ছেলে হাফিজুর রহমান (৪৫), একই এলাকার মৃত নজরুল ফকিরের ছেলে রাজু ফকির (৪৭), মৃত মজিদ গাজীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৫), নুরনগর ইউনিয়নের দুরমুজখালী এলাকার মৃত লিয়াকত মল্লিকের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫), মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর এলাকার খলিলুর রহমান গাজীর ছেলে মফিজুর (৩৮), একই এলাকার মৃত ইমান আলী সানার ছেলে মুছাক সানা ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের বড় ভেটখালী এলাকার মৃত জয়নাল গাজীর ছেলে নজরুল ইসলাম (৫৭)।

কদমতলা ফরেস্ট স্টেশনের এসও সোলায়মান জাগো নিউজকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুন্দরবনের চুনকুড়িঁ নদীর তক্কাখালী এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় বনদস্যু বাহিনীর সদস্যরা বনবিভাগের সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে বনবিভাগের সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এসময় প্রতিরোধের মুখে বনদস্যুরা পালিয়ে যায়। ধ্বংস করা হয় বনদস্যুদের একটি আস্তানা।

Advertisement

উদ্ধার হওয়া জেলেরা জাগো নিউজকে জানায়, তাদের বিভিন্ন সময় সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে বনদস্যু মঞ্জু বাহিনী মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে। এই বাহিনীর প্রধান হিসেবে মঞ্জু নিজেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সুন্দরবনে ফের দস্যুতা শুরু করেছে জেল ভেঙে পালানো দণ্ডপ্রাপ্তসহ দাগী আসামিরা।

আহসানুর রহমান রাজীব/এমএএইচ/

Advertisement