জাতীয়

ইজতেমা ঘিরে তাবলীগের দুপক্ষের সঙ্গে বসছে সরকার

আগামী বছরের জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে টঙ্গীর তুরাগ তীরে ঐতিহ্যবাহী বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে পারে। বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের সঙ্গে বসতে যাচ্ছে সরকার।

Advertisement

আগামীকাল সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (৩ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সল হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপকে (জোবায়ের ও সাদ) নিয়ে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন দুই পর্বে নয়, বিশ্ব ইজতেমা এবার একত্রে করতে চায় সরকার

গত কয়েক বছর দুই পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হলেও এবার তা একত্রে করতে চায় সরকার। গত ২২ অক্টোবর আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা উভয়পক্ষের সম্মতিতে আলোচনা সাপেক্ষে বিশ্ব ইজতেমা একপর্বে করতে চাই।

ওইদিন তিনি আরও বলেন, বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আপনারা জানেন, কয়েক বছর ধরে ইজতেমা দুই ভাগ হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে মতেরও কিছুটা ভিন্নতা আছে। আমরা তাদের সঙ্গে বসবো। কীভাবে বিশ্ব ইজতেমা একসঙ্গে করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করবো। যেন খুব ভালোভাবে ইজতেমা আয়োজন করতে পারি।

তাবলিগ জামাতের বিরোধের কারণে কয়েক বছর ধরে দুই পর্বে হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। সবশেষ গত বছরও প্রথম পর্বে শুরায়ে নিজাম অনুসারী মুসল্লিরা এবং দ্বিতীয় পর্বে নিজামুদ্দিন অনুসারী মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেন।

গত বছর ১ ফেব্রুয়ারি আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ৪ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতে তা শেষ হয়। এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া দ্বিতীয় পর্বের আনুষ্ঠানিকতা আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ১১ ফেব্রুয়ারি।

Advertisement

টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব ইজতেমা। দেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি তুরাগ তীরে ইজতেমায় অংশ নেন। এছাড়া সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, কাতার ও আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের অসংখ্য মুসল্লি ইজতেমায় অংশ নিতে আসেন।

এসইউজে/এমকেআর/জিকেএস