বাংলাদেশে নিযুক্ত অনাবাসিক ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কিমো লাহডেভিরতা আজ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
Advertisement
সাক্ষাৎকালে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রদূত তার সরকারের পক্ষ থেকে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সমর্থন এবং দেশের সংস্কার কার্যক্রমে অবদান রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত লাহডেভিরতা জানান, ফিনল্যান্ড সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য এক মিলিয়ন ইউরো অনুদান দেবে এবং আরও এক মিলিয়ন ইউরো বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে প্রদান করা হবে।
Advertisement
ড. ইউনূস ছাত্র আন্দোলন এবং সংস্কার কমিশনগুলোর কাজ ও তার সরকারের প্রতি জনগণের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারী শাসক দেশ ছাড়ার পর দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত অবস্থায় ছিল, কিন্তু দ্রুত ও কঠোর সংস্কারমূলক পদক্ষেপ ইতোমধ্যে পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে সহায়ক হয়েছে।’
তিনি যোগ করেন, ‘রিজার্ভ বাড়ছে’ এবং সরকার বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে হাত না দিয়েই আন্তর্জাতিক অর্থ পরিশোধ শুরু করেছে। তিনি আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে সার্ক পুনরুজ্জীবিত করার পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত জানান যে আরও ফিনিশ ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আগ্রহী এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) দ্বারা সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) দ্রুত প্রক্রিয়াকরণের আহ্বান জানান। কক্সবাজারে এক ফিনিশ প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার করে তা প্লাস্টিকের চাদরে রূপান্তর করতে আগ্রহী, যা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয়কেন্দ্রগুলিতে ব্যবহৃত হতে পারে।
Advertisement
রাষ্ট্রদূত আরও জানান, ফিনল্যান্ডে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও দক্ষ কর্মী নিয়োগ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার সিকিউরিটি এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ফিনিশ পক্ষের আগ্রহ রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে তার দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এমইউ/জেএইচ/জিকেএস