ফিচার

বিয়ের দিন বর-কনের মুখে কালি লাগানোই নিয়ম যে দেশে

বিয়ে নিয়ে একেক দেশে একেক রকম নিয়ম রয়েছে। আয়োজন ভিন্ন হলেও আনন্দ আর উদ্দেশ্য একই। দুজন ছেলে-মেয়েকে সামাজিকভাবে একসঙ্গে থাকার স্বীকৃতি দেওয়া। সেইসঙ্গে পরিবার, বন্ধু, আত্মীয়-স্বজনরা এই উপলক্ষে মেতে ওঠেন আনন্দে।

Advertisement

বিভিন্ন রীতিনীতি মেনে, উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে শেষ হয় একটি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। এই রীতিনীতি এবং আয়োজনে দেশ, অঞ্চল বা জাতি ভেদে ভিন্ন হতে পারে। যেমন-আমাদের দেশে বিয়ে মানেই হচ্ছে- গায়ে হলুদ, বিয়ে এবং বউভাত। এছাড়া এখন অনেকেই প্রি-ওয়েডিং আয়োজন করেন, মেহেদি সন্ধ্যা ছাড়াও পরিবার কিংবা বন্ধুদের নিয়ে বেশ কয়েকটি উৎসব করেন।

জানেন কি? বিভিন্ন দেশে বিয়ের দিন বর-কনের নানান রকম রীতি পালন করতে হয়। যা শুনলে আমাদের অবাক লাগলেও তারা শত শত বছর ধরে এই নিয়ম পালন করছেন। এই যেমন- কিরগিজস্তানে এক সময় ছিল যখন পুরুষরা তাদের পছন্দের নারীকে অপহরণ করে বিয়ের জন্য বাধ্য করত। এই রীতি নারীর সম্মতি নিয়ে অথবা সম্মতি ছাড়াই করা হত। যদিও এখন এই রীতি অবৈধ।

বিহারের কিছু গ্রামীণ এলাকায় এখনো কিছু অংশে এই ধরনের রীতি পালন করা হচ্ছে। পার্থক্য হলো, কনের পরিবার কোন উপযুক্ত যুবকের অপহরণ করে তাদের কন্যা বা বোনের বিয়ের জন্য চাপ দেয় এবং পরে মহিলাকে তার সঙ্গে বিয়ে করতে হয়।

Advertisement

জার্মানিতে একটি অদ্ভুত রীতি রয়েছে। নববিবাহিত দম্পতিকে টিমওয়ার্কের গুরুত্ব শেখানোর জন্য এবং খারাপ সময়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিয়ের পরে যখন অতিথিরা নববিবাহিত দম্পতির বাড়িতে যান, তখন তারা সেখানে বাসনপত্র এবং মাটির পাত্র ভেঙে ফেলেন।

তাদের বিশ্বাস, এতে দম্পতির জন্য শুভকামনা আসে। আসলে, যখন অতিথিরা চলে যায়, তখন দম্পতি একসঙ্গে বাড়ির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করেন, যা টিমওয়ার্কের প্রতীক।

আরও পড়ুনদেড় কোটি জনসংখ্যার দেশে ৮৫০ ভাষা

অস্ট্রিয়ায় নববিবাহিত দম্পতিকে একটি কাঠের লাঠিকে অর্ধেক করে কাটতে হয়। এই রীতি সাধারণত বিয়ের রিসেপশনে করা হয়। এর উদ্দেশ্য হল, দম্পতিকে শেখানো যে বিয়েতে টিমওয়ার্ক গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে তারা মিলিত হয়ে চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করতে পারে।

স্কটল্যান্ডের কিছু অঞ্চলে, কনে এবং বর-এর বন্ধুরা বিয়ের আগে তাদের মুখে কালো রং করে দেয় এবং তার উপর আটা জাতীয় ময়লা জিনিস ফেলে দেয়। এইভাবে তাদের অপমানিত করার ঐতিহ্য চলে আসছে বহু যুগ ধরে। আসলে, তাদের সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করা হয় যে বিয়ে করা কঠিন কাজ এবং যদি দম্পতি এই অপমান সহ্য করে একসঙ্গে থাকতে পারে, তাহলে তারা জীবন এবং বিয়ের সমস্ত কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে সক্ষম হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন৫০০ বছরেও যে বই পাঠোদ্ধার করতে পারেনি কেউবাস নম্বর ৩৭৫-এর রহস্য আজও অজানা

সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল

কেএসকে/জেআইএম