ভ্রমণ বা অন্য কাজে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধিক সংখ্যক ট্রেনের টিকিট প্রয়োজন হলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে টিকিট সংরক্ষণ করা যেতো। সে ক্ষেত্রে ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হতো এবং সংরক্ষণ করা এসব টিকিটের ওপর ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হতো। তবে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে এখন থেকে আর টিকিট সংরক্ষণ করা যাবে না।
Advertisement
রোববার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-পরিচালক (টিসি) মো.আনসার আলী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে৷ চিঠিটি সহজ লিমিটেড (লিড পার্টনার) সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন-জেভি এর ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৯ অক্টোবর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রেলভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত টিকিট বিক্রয় ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নোক্ত নির্দেশনা প্রদান করা হলো:
১। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কোনো টিকিট সংরক্ষণ না রাখা।
Advertisement
২।রেলওয়ের জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত সংরক্ষিত আসন ব্যতীত কোনো টিকিট সংরক্ষণ নাকরা।
৩। রেলওয়ের সংরক্ষিত আসন সংশ্লিষ্ট ডিসিওগণ তত্ত্বাবধান করবেন।
৪। টিকিট সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হলে বা অন্য কোনো প্রয়োজনে টিকিট সংরক্ষণেরপ্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে তা অবশ্যই লিখিত নির্দেশনার ভিত্তিতে কার্যকরী করতে হবে।
চিঠিতে আরো বলা হয়, আগামী ১০ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয় অনুমোদিতসংরক্ষিত আসন ব্যতীত কোনো টিকিট সংরক্ষণ না রাখা এবং একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ডিসিওগণের দালিলিক/লিখিত নির্দেশনামোতাবেক উক্ত সংরক্ষিত আসনের টিকিট রিলিজ ও তা রেকর্ড হিসেবে সংরক্ষণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
Advertisement
এনএস/এসএনআর/এমএস