সুদানের উত্তর দারফুর প্রদেশে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর পৃথক দুই হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। শনিবার (২ নভেম্বর) ঘটে যাওয়া এই হামলাগুলোর তথ্য নিশ্চিত করেছে একটি চিকিৎসা সংস্থা এবং প্রাদেশিক সরকারি এক কর্মকর্তা।
Advertisement
সুদানিজ ডক্টরস নেটওয়ার্ক জানায়, উত্তর দারফুর প্রদেশের বার্দিক এলাকা এবং সংলগ্ন কিছু গ্রামে আরএসএফ-এর হামলায় ১৫ জন নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, উত্তর দারফুরের প্রাদেশিক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ইব্রাহিম খাতির জানিয়েছেন, এল ফাশারের সৌদি হাসপাতালে আরএসএফ-এর আর্টিলারি হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। তবে হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মীরা নিরাপদে রয়েছেন।
আরও পড়ুন>>
Advertisement
গত বছরের এপ্রিল থেকে আরএসএফ ও সুদানিজ সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে ক্ষমতার জন্য লড়াই চলছে। উভয় পক্ষের বিরুদ্ধেই সাধারণ মানুষ হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি আরএসএফের আল-জাজিরাহ অঞ্চলের কমান্ডার সেনাবাহিনীর পক্ষে যোগ দেওয়ার পর থেকে সংঘাতের মাত্রা আরও বেড়ে গেছে।
সেনাবাহিনী-আরএসএফের এই সংঘাতে সুদানে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে, গত ২৫ অক্টোবর রাজধানী খার্তুমের দক্ষিণে আল-সারিহা গ্রামে আরএসএফের হামলায় অন্তত ১২৪ জন নিহত হন। স্থানীয় চিকিৎসক ও অধিকারকর্মীদের মতে, দেশটিতে চলমান গৃহযুদ্ধের মধ্যে এটি ছিল অন্যতম প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা।
সুদানিজ ডক্টরস নেটওয়ার্ক জানায়, আরএসএফ বাহিনী আল-সারিহায় গণহত্যা চালিয়েছে। এতে ১২৪ জনের মৃত্যু ও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। হামলার কারণে শত শত বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
Advertisement
জাতিসংঘের মতে, সুদানি সশস্ত্র বাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে সংঘাত বিশ্বের ‘সবচেয়ে খারাপ’ মানবিক সংকট তৈরি করেছে।
সূত্র: শিনহুয়া, এএফপিকেএএ/