ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা। এবার শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে জাতীয় পার্টিও (জাপা) সেভাবে পালাবে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।
Advertisement
শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে প্রায় একই সময়ে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তারা এমন মন্তব্য করেন।
হাসনাত ও সারজিস জাপাকে উদ্দেশ করে লিখেছেন, ‘যেই পথে গেছে আপা, সেই পথে যাবে জাপা। নোট: কেয়ামতের সময়ের তওবা কবুল হয়না।’
কয়েকদিন ধরেই প্রায় মুখোমুখি অবস্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী ও জাতীয় পার্টি। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই জাতীয় পার্টির সমালোচনা করে আসছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। জাতীয় পার্টির কারণেই আওয়ামী লীগ ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে পেরেছে বলে অভিযোগ করে আসছিলেন তারা।
Advertisement
আরও পড়ুন
জাতীয় পার্টির সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল স্থগিত পাইওনিয়ার রোড ও কাকরাইলে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ জাপাকে কোনোভাবেই সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না: ছাত্র অধিকার আমরা মরতে চাই, দেখি কত লোক মারতে পারে: জিএম কাদেরসম্প্রতি এই পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমের রংপুরে যাওয়ার খবরে লাঠি মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে জাতীয় পার্টি (জাপা)।
এ অবস্থার মধ্যে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
এদিকে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ দলের নেতাদের নামে মামলা প্রত্যাহার ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে শনিবার (২ নভেম্বর) ঢাকায় সমাবেশ এবং বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছিল দলটি।
Advertisement
দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলার পরও শনিবারের সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তবে শুক্রবার (১ নভেম্বর) জাপা চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী জানান, শনিবার অনুষ্ঠেয় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ স্থগিত করেছে জাতীয় পার্টি।
এর আগে রাজধানীর পাইওনিয়ার রোড ও কাকরাইলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যে কোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ।
জাপা চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি জানান, পাইওনিয়ার রোডস্থ ৬৬ নং ভবন, কাকরাইলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যে কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করায় জাতীয় পার্টি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তী কর্মসূচি জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।
ইএ