টিউশন থেকে ফেরার সময় ক্যাম্পাসের বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঝিনাইদহের আরাপপুরে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত ওই শিক্ষার্থী বর্তমানে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেলে মানববন্ধন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।
ভুক্তোভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মশিউর রহমান। তিনি লালন শাহ হলের আবাসিক ছাত্র।
Advertisement
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তার সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে টিউশন শেষে ঝিনাইদহের আরাপপুরে ক্যাম্পাসের বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন মশিউর। এসময় সেখানে স্থানীয় দুটি পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। তাদের একটি পক্ষ মশিউরকে প্রতিপক্ষ ভেবে তার ওপর হামলা করে। তার হাঁটুর নিচে ধারালো চাপাতি দিয়ে আঘাত করা হয়। এছাড়া কব্জি, কনুই ও পাসহ তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে আঘাত করে দুর্বৃত্তরা। পরে তারা মশিউরকে সেখানে ফেলে রেখে চলে যান।
এসময় এক পথচারী তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মশিউর রহমান বলেন, ‘টিউশনি শেষে ক্যাম্পাস বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এসময় সেখানে স্থানীয়দের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় তারা আমাকে প্রতিপক্ষ ভেবে হামলা করে। আমি ছাত্র পরিচয় দেওয়ার পরও তারা হামলা করে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে মানববন্ধন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক তানভীর মন্ডলের সঞ্চালনায় সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, ইয়াসিরুল কবির সৌরভ এবং মশিউরের সহপাঠী ইমন বক্তব্য রাখেন।
Advertisement
মশিউরের ওপর সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হামলাকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। বিচার কাজে কোনো রকম দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দিলে বা অল্প সময়ের মধ্যে যদি হামলাকারীদের গ্রেফতার না করা হয়, তাহলে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবো।
তারা আরও বলেন, মশিউর আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল পরিবারের সন্তান। তাই সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুনজুরুল ইসলাম/এসআর/এএসএম