চাঁদপুরে ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও অঘটন ঘটাচ্ছে তরা। মারামারি, ইভটিজিং ও দখলসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই যা করছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার পরও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। কোথাও হট্টগোল কিংবা মারামারি মত ঘটনা ঘটলেই শুরু হয় অস্ত্রের মহড়া। শুধু জেলা শহর নয় বিভিন্ন উপজেলায়ও নানা ধরনের অপরাধ করছে তারা।
Advertisement
সন্ধ্যা নামলে শহরের অলি-গলিতে কিশোর অপরাধীদের আনাগোনা বাড়ে। শহরের পাশের রেললাইনে তাদের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি। তারা এতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে নিয়ন্ত্রণ চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রতি শহরের ছায়াবানী এলাকায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এতে এক পক্ষের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত ঢালীর ঘাট এলাকার স্কুল ছাত্র রাশেদ (১৫)। পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে ধাওয়া করে সড়কে ফেলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। পরে তার সঙ্গীরা তাকে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এদিকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কিশোর গ্যাং নিয়ে জিরো টলারেন্স ঘোষণা হলে কোনোভাবে যেন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। অনেক সময় ঘটনাস্থল থেকে কিশোর গ্যাং সদস্যদের আটক করলেও পরে ছাড়া পেয়ে কিশোর গ্যাংয়ে যোগ দিচ্ছে। এতে করে পরিবারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ। বর্তমানে পরিবারের অভিভাবক হিসেবে মা-মার যে দায়িত্ব পালন করার কথা। সেই দায়িত্ব কতটুকু পালন করছেন এমটাই প্রশ্ন সচেতন মহলের।
Advertisement
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, শহরে প্রতিদিন পাঁচটি মোবাইল টিম কাজ করছে। কিশোর গ্যাং নিয়ে আমাদের নজরদারি রয়েছে। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও থেকে কিশোর গ্যাং সদস্য আটক হচ্ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন অপরাধ ও কিশোর গ্যাং নিয়ে যৌথ বাহীনির অভিযান পরিচালনা হচ্ছে। আমরা কিশোর গ্যাং নিয়ে শুধু একদিন অভিযান চালাবো।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, আমি বলেছি কিশোর গ্যাং নিয়ে কোনো আপোষ নেই। তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি। রোববার দুজনকে আটক করেছে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দিব না।
শরীফুল ইসলাম/আরএইচ/এএসএম
Advertisement