আবাসন খাতে সংকট নিরসনে জরুরিভিত্তিতে ইমারত বিধিমালা-২০২৪ চূড়ান্ত করার দাবি জানিয়েছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।
Advertisement
আবাসন খাতের সংগঠনটি জানায়, করোনার সময় তড়িঘড়ি করে নামমাত্র গণশুনানি দেখিয়ে বৈষম্যমূলক ও ক্রটিপূর্ণ বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) ২০২২-২০৩৫ প্রকাশ করা হয়। যার ফলে আবাসন সেক্টরে স্থবিরতা নেমে আসে। জনগণের মাঝে অসন্তোষ তৈরি হয়।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হামিদুর রহমান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রিহ্যাব নেতারা এ দাবি জানান।
রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল লতিফ এবং রিহ্যাব পরিচালক ড. মো. হারুন অর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আবাসন খাতকে কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে বিগত সরকারের মদতপুষ্ট একটি স্বার্থান্বেষী মহলকে খুশি করতে কোভিড-১৯ মহামারি চলার সময়ে তড়িঘড়ি করে নামমাত্র গণশুনানি দেখিয়ে মানুষের মতামতকে আমলে না নিয়ে বিগত ২০২২ সালের ২২ আগস্ট বৈষম্যমূলক ও ক্রটিপূর্ণ বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) ২০২২-২০৩৫ প্রকাশ করে। যার ফলে আবাসন সেক্টরে স্থবিরতা নেমে আসে এবং জনগণের মাঝে অসন্তোষ তৈরি হয়। এরই মধ্যে উক্ত ত্রুটিযুক্ত ড্যাপের আলোকে ঢাকা মহানগর ইমারত বিধিমালা-২০২৪ অনুমোদনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল।
এরপর গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টার নির্দেশে রাজউক, সব প্রফেশনাল বডি ও রিহ্যাবের সমন্বয়ে ‘ড্যাপ রিভিউ কমিটি’ গঠন করেন এবং খসড়া বিধিমালাটি ফেরত এনে সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় রিহ্যাব কর্তৃক চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর একটি সুন্দর সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত পূর্ণাঙ্গ খসড়া বিধিমালা-২০২৪ রাজউক চেয়ারম্যানের নিকট হস্তান্তর করা হলে দীর্ঘ এক মাস অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি।
তিনি বলেন, এ অবস্থায় রিহ্যাবের সদস্যরা ও ঢাকার জমির মালিকরা তাদের নতুন ভবনের নকশা জমা প্রদান করতে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন যা আবাসন সেক্টরে স্থবিরতা সৃষ্টি করছে। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ইমারত বিধিমালা-২০২৪ চূড়ান্তকরণের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের দাবি জানাই।
সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হামিদুর রহমান খান বলেন, প্রস্তাবনা অনলাইনে প্রকাশের পর সব স্টেকহোল্ডাদের মতামত ও পরামর্শ দেওয়ার পর তা পর্যালোচনা করা হবে। এরপর দ্রুত বিধিমালাটি চূড়ান্ত করা হবে বলে রিহ্যাব নেতাদের আশ্বাস দেন তিনি।
Advertisement
ইএআর/এসএনআর/জিকেএস