স্বাস্থ্য

ডেঙ্গুতে আরও ৭ মৃত্যু, একদিনে হাসপাতালে ১২৪৩ জন

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন সাতজন। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেলেন ২৯৭ জন।

Advertisement

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে এক হাজার ১৫৪ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৬১ হাজার ৮১৭ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হন।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে দুইজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের, দুইজন ময়মনসিংহ বিভাগের। এছাড়া মৃতদের মধ্যে একজন করে রয়েছেন বরিশাল, খুলনা এবং রংপুর বিভাগে।

Advertisement

আলোচ্য সময়ে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৯৭ জন রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৩৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪৩ জন, বরিশাল বিভাগে ১০৫ জন, খুলনা বিভাগে ১২৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৪ জন, রাজশাহীতে ৬৭ জন, রংপুর বিভাগে ২৪ জন এবং সিলেট বিভাগে ৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

আরও পড়ুনডেঙ্গু প্রতিরোধে বিটিআই ব্যবহারের পরিকল্পনা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত বেশি পুরুষ, মৃত্যু বেশি নারীর 

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৬১ হাজার ৮১৭ জন। যাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৮০ শতাংশ নারী। এছাড়া এখন পর্যন্ত মৃত ২৯৭ জনের মধ্যে ৫১ দশমিক ৯০ শতাংশ নারী এবং ৪৮ দশমিক ১০ শতাংশ পুরুষ।

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়।

Advertisement

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জন মারা যান।

এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ২৮১ জন।

কেএসআর/জেআইএম