আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে দেশের কাঁচাবাজারেও নিষিদ্ধ হচ্ছে পলিথিন ও পলিপ্রপাইলিনের তৈরি ব্যাগের ব্যবহার। একই সঙ্গে পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধেও অভিযান চালানো হবে।
Advertisement
চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
এদিকে পলিথিন নিয়ে খোলাবাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগের কয়েকটি মুদি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, এখনো পলিথিনের মাধ্যমে ক্রেতা-বিক্রেতারা বেচাকেনা করছেন।
সেখানকার বেশ কয়েকজন দোকানি জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, পলিথিনের বিকল্প এখনো তারা পাননি। পলিথিন ছাড়া কীভাবে চলবে? কাস্টমাররা যদি ব্যাগ কিনে নিয়ে আসে আমরা তাদের ব্যাগেই মাল দেবো। আর যদি সহজলভ্য ব্যাগ পাই তাহলে সেগুলোও বিক্রি করবো।
Advertisement
ওয়ারলেস রেলগেট সংগলগ্ন একজন দোকানি ওমর ফারুক। তিনি বলেন, শুনছি আরও একমাস সময় দিয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা পলিথিনের বিকল্প পাইনি। তাই পলিথিনই দিচ্ছি।
ওয়ারলেস এলাকায় ভ্যানগাড়িতে করে সবজি বিক্রি করেন আসাদুল। তিনি বলেন, কাল থেকে যে পলিথিন নিষিদ্ধ এটা জানিই না। আশপাশে কাউকে বলতেও শুনিনি।
এদিকে গত ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে নিষিদ্ধ হয় পলিথিন। দেশের সুপারশপগুলোতে পলিথিনের বদলে ব্যবহার করা হয় পাটের ব্যাগ।
জানা গেছে, দেশে সর্বপ্রথম পলিথিন নিষিদ্ধ হয় ২০০২ সালে। তবে এরপর থেকে আইনের প্রয়োগ না হলেও দীর্ঘ ২২ বছর পর দেশের বাজারে পলিথিন নিষিদ্ধের খবরে জনমনে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
Advertisement
রাজধানীর মগবাজারের বাসিন্দা সালেহ আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, পলিথিন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর, কিন্ত তার যথাযথ বিকল্প গড়ে তুলেছে কি না সেটা সরকারকে ব্যবস্থা করতে হবে। যেখানে গ্রোসারি (মুদি) মাল প্রতিটি আইটেমের জন্য একটা করে পলিথিন দরকার হয় সেখানে হঠাৎ করে এত ব্যাগ থাকবে কি না সেটি একটি বিষয়।
আরএএস/এমএইচআর/জেআইএম