রংপুর মেডিকেল কলেজের (রমেক) অধ্যক্ষ ডা. মাহফুজুর রহমান বলেছেন, গত পাঁচ বছরে রংপুর মেডিকেল কলেজে দুজন অধ্যক্ষ নিয়োগ পেয়েছেন। সব ধরনের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও উপাধ্যক্ষ পদ থেকে আমাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি। ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর আমার বিষয়ে সার্বিক খোঁজখবর নিয়েই আমাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় রংপুরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সদ্য পদোন্নতি পাওয়া অধ্যক্ষ মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে আমি শহীদ আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পরিবর্তনে কোনো প্রভাব বিস্তার করিনি। বরং বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছি। ফরেনসিক বিভাগের শিক্ষক ডা. রাজিবুল ইসলাম বিষয়টি স্বীকার করে একটি প্রভাবশালী টেলিভিশন চ্যানেলে বক্তব্যও দিয়েছেন।’
অধ্যক্ষ বলেন, ‘গত ৩০ জুলাই আমাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে বদলি করা হয়। এরপর বদলিজনিত কারণে আমি ওইদিন থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করি। অথচ আমার নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন একটি রাজনৈতিক দলের চিকিৎসকসহ শিক্ষার্থীরা।’
Advertisement
বিগত সময়ে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না জানিয়ে মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদেরও কোনো সদস্য ছিলাম না। ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় অনেক শিক্ষার্থী আহত হলে আমি মেডিকেলে গিয়ে তাদের খোঁজখবর নিয়েছি। ৫ আগস্টের পর বর্তমান সরকার আমার বিষয়ে সার্বিক খোঁজখবর নিয়ে আমাকে পদোন্নতি দিয়েছে। গতকাল কলেজে যোগদান করতে গেলে কয়েকজন চিকিৎসক বাধা দেন। এটি একটি ষড়যন্ত্র বলে মনে করছি।’
এদিকে, অধ্যক্ষ মাহফুজুর রহমানের পদত্যাগ দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ হয়েছে ক্যাম্পাসে। বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তারা।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রংপুর মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ থেকে অধ্যক্ষ পদে পদায়ন করা হয় ডা. মাহফুজুর রহমানকে। চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের একাংশের অভিযোগ, তিনি শহীদ আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তৈরিতে প্রভাব বিস্তার করেছেন এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরোধী ছিলেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ডা. মাহফুজুর রহমান।
জেডআইকে/এসআর/জেআইএম
Advertisement