ধর্ম

মসজিদে কয়েল জ্বালানো যাবে কি?

ইসলামে মসজিদ অত্যন্ত সম্মানিত ও মর্যাদাপূর্ণ স্থান। কোরআনে আল্লাহ মসজিদকে নিজের দিকে সম্পৃক্ত করেছেন এবং মসজিদ আবাদকারীদের প্রশংসা করেছেন। আল্লাহ বলেন,

Advertisement

اِنَّمَا یَعۡمُرُ مَسٰجِدَ اللّٰهِ مَنۡ اٰمَنَ بِاللّٰهِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ وَ اَقَامَ الصَّلٰوۃَ وَ اٰتَی الزَّکٰوۃَ وَ لَمۡ یَخۡشَ اِلَّا اللّٰهَ فَعَسٰۤی اُولٰٓئِکَ اَنۡ یَّکُوۡنُوۡا مِنَ الۡمُهۡتَدِیۡنَ

একমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদসমূহ আবাদ করবে, যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সালাত কায়েম করে, যাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না। আশা করা যায়, ওরা হিদায়াতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সুরা বাকারা: ১৮)

মসজিদের মর্যাদা রক্ষা করা মুসলমানদের কর্তব্য ও তাকওয়ার দাবি। কোরআনে আল্লাহ বলেছেন,.

Advertisement

ذٰلِکَ وَمَنۡ یُّعَظِّمۡ شَعَآئِرَ اللّٰهِ فَاِنَّهَا مِنۡ تَقۡوَی الۡقُلُوۡبِ

এটাই আল্লাহর বিধান এবং কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে সম্মান করলে এটাতো তার অন্তরের তাকওয়ারই বহিঃপ্রকাশ। (সুরা হজ্জ: ৩২)

মসজিদে দুর্গন্ধযুক্ত কোনো জিনিস প্রবেশ করানো নিষেধ। দুর্গন্ধযুক্ত হওয়ার কারণে কাঁচা পেয়াজ, রসুন ইত্যাদি খেয়ে মসজিদে যেতে হাদিসে নিষেধ করা হয়েছে। জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ الْمُنْتِنَةِ فَلاَ يَقْرَبَنَّ مَسْجِدَنَا فَإِنَّ الْمَلاَئِكَةَ تَأَذَّى مِمَّا يَتَأَذَّى مِنْهُ الإِنْسُ

Advertisement

কেউ এসব দুর্গন্ধযুক্ত খাবার খেলে সে যেন আমাদের মসজিদের কাছে না আসে। কেননা মানুষ যেসব জিনিসে কষ্ট পায়, ফেরেশতাগণও সেসব জিনিসে কষ্ট পান। (সহিহ মুসলিম: ১১৩৪)

এ হাদিসের ভিত্তিতে ফকিহগণ যে কোনো দুর্গন্ধযুক্ত জিনিস মসজিদে প্রবেশ করানোকে নাজায়েজ বলেছেন। কারণ, তা মসজিদে বিদ্যমান মানুষ ও ফেরেশতাদের কষ্টের কারণ হয়।তাই মসজিদে দুর্গন্ধযুক্ত কয়েল জ্বালানো জায়েজ হবে না। মশার উপদ্রব থেকে বাঁচার জন্য দুর্গন্ধমুক্ত কয়েল, ধূপ বা স্প্রে-জাতীয় কোনো কিছু ব্যবহার করা যেতে পারে।

ওএফএফ/জিকেএস