জামায়াতে ইসলামীকে ‘বন্ধু’ ও ‘মিত্র’ উল্লেখ করে দলটির সঙ্গে মহাঐক্য চান বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে মিট দ্য প্রেসে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ‘রাজনীতিতে কিছু কৌশল থাকে। সব কৌশল সব জায়গায় বলাও যায় না। আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে আমাদের আরেকটি মিত্র হিসেবে দেখি। তারাও কিন্তু নির্যাতিত। এই ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে যারা ছিলেন, যারা নির্যাতিত হয়েছেন, নিগৃহীত হয়েছেন তারা সবাই আমাদের বন্ধু। এখানে ভেদাভেদের জায়গা নেই। যারা ফ্যাসিজমকে সহযোগিতা করেছে-জাতীয় পার্টি, ১৪ দল ও কিছু ইসলামিক দল তারা আমার বন্ধু না। তাদের জায়গা হওয়া উচিত না।’
তিনি বলেন, ‘জামায়াত তো আমার বন্ধু। সে আমার মিত্র। আমরা জামায়াতের সঙ্গে মহাঐক্য চাই। যদি এমন হয় আলাদাভাবে ইলেকশন করতে চায়, সেটাও তার গণতান্ত্রিক অধিকার।’
Advertisement
সৈয়দ এহসানুল হুদা আরও বলেন, ‘আমি জাতীয়তাবাদী আদর্শের একজন। আমার নেতা তারেক রহমান। উনি জাতীয়তাবাদী আদর্শের সর্বোচ্চ নেতা। ঝাণ্ডাটা উনার হাতে। আমি ওই জোটের অন্যতম মিত্র দল। আমি বিএনপির নেতাকর্মীদের মোকাবিলা করতে আসি নাই। তারা আমার ভাই, তারা আমার বোন, তারা আমার চাচা। তাদের সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক। মোকাবিলার প্রশ্নই আসে না। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করবো।’
জানা গেছে, ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদার সংসদীয় এলাকা কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে জনসংযোগ ও দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে সহযোগিতা করতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
গত ২২ অক্টোবর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী সই করা এক চিঠিতে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে এ বিষয়ে জানানো হয়।
চিঠিতে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তাই সৈয়দ এহসানুল হুদার সংসদীয় এলাকা কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে জনসংযোগ ও দলের সাংগঠনিক সার্বিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
Advertisement
এসকে রাসেল/এসআর/জিকেএস