যশোরের শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের বেলতা খালে একটি সেতুর অভাবে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন দুই উপজেলার অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। একটি সাঁকো থাকলেও ভেঙে তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জরুরি প্রয়োজনে চলাচলের মাধ্যম কলাগাছের ভেলায়।
Advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরকার উদ্যোগ না নেওয়ায় শার্শার সাড়াতলা ও ঝিকরগাছার বেলতা গ্রামের বাসিন্দারা কাঠ ও বাঁশ দিয়ে একটি সাঁকো নির্মাণ করেন। কিন্তু চলতি বর্ষা মৌসুমে অধিক বৃষ্টিপাতে সাঁকোর ওপরে পানি উঠে গিয়ে ভেঙে গেছে। বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সাঁকোটি। বিশেষ প্রয়োজনের কলাগাছের ভেলায় চড়ে খাল পার হতে হয়।
সমাজকর্মী ডা. নুর ইসলাম জানান, কয়েক বছর আগে গ্রামবাসীর কাছ থেকে চাঁদা তুলে সাঁকোটি তৈরি করা হয়। ওই সাঁকো ব্যবহার করে পণ্ডিতপুর, সাড়াতলা, গোকার্ণ, দুর্গাপুর, চন্দ্রপুর, খলিসাখালী, পাকশিয়া, কাশিপুর, বাউন্ডারিসহ আশপাশের ১৫টি গ্রামের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে আসছিলেন। চলতি বর্ষা মৌসুমে অত্যধিক বৃষ্টিপাত হওয়ায় সাঁকোর ওপরে পানি উঠে গিয়ে স্রোতে ভেঙে গেছে।
বেলতা গ্রামের কৃষক আহম্মদ আলী বলেন, ‘মাঠের ফসল বাড়ি নিয়ে যেতে খুব কষ্ট হচ্ছে। দু-তিন মাইল ঘুরে যেতে হয়। মাঝে মধ্যে ভেলায় ফসল পার করতে হয়। এতে সময় ও ফসল দুটোই নষ্ট হচ্ছে।’
Advertisement
কলেজছাত্র আবুল হাসান বলেন, ‘আগে বাড়ি থেকে কলেজে যেতে ২৫ মিনিট সময় লাগতো। কিন্তু সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ার পর পথ বেড়েছে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। এখন কলেজ যেতে ৪০-৪৫ মিনিট বেশি সময় লাগে।’
ডিহি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মুকুল বলেন, সেতু নির্মাণের সব কাগজপত্র উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে নিয়ে ঢাকা এলজিইডি দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছিল। প্রকল্প পরিচালক দ্রুততম সময়ে কাজ শুরু হবে বলে আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো প্রতিফলন দেখছি না।
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা প্রকৌশলী সানাউল হক বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ বেলতা খালে সেতু নির্মাণে ২০২০ সাল থেকেই প্রস্তাবনা পাঠানো হচ্ছে। এখন এটা টেন্ডারের অপেক্ষায় রয়েছে।
জামাল হোসেন/এসআর/জেআইএম
Advertisement