জাতীয়

সকাল-বিকেল ৪ ঘণ্টা ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকবে প্রশিক্ষিত ছাত্ররা

শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্বে নিয়োজিত করা হবে জানিয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, তারা সকাল-বিকাল চার ঘণ্টা এ দায়িত্ব পালন করবেন।

Advertisement

আগামী ১ নভেম্বর জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ কথা জানান।

তিনি বলেন, আমরা ট্রাফিক সচেতনতার একটা প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছি এবং সেখানে এক হাজার জন অংশগ্রহণ করেছেন। তাদের মধ্য থেকে প্রায় ৭০০ জন সহায়ক ট্রাফিক পুলিশ হিসেবে যোগ দিচ্ছেন। প্রশিক্ষণটা চলমান।

উপদেষ্টা বলেন, ‘এরকম প্রত্যেক জায়গায় যুবকদের সম্পৃক্ত করবো। তাদের সিলেকশন চলছে। প্রায় ৭০০ জনকে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা আছে। প্রাথমিকভাবে ৩০০-৪০০ জন নেওয়া হবে। আপনারা জানেন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার অবস্থা খুবই খারাপ। ছাত্ররাই ৫ তারিখ থেকে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব নিয়েছিল। তারাই এখন ট্রাফিক পুলিশের সাথে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে থাকবে এবং প্রফেশনালি তারা কাজ করবে।’

Advertisement

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমরা চিন্তা করেছি, সকালে এবং বিকেলে ট্রাফিক বেশি সমস্যা হয়। এই দুই সময়ে চার ঘণ্টা করে ছাত্ররা এই পয়েন্টগুলোতে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করবে।’

তাদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটবে কি না- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এ কারণেই চার ঘণ্টা। আমিও ছাত্র ছিলাম, টিউশনি করিয়েছি। একটা টিউশনি করতে যেতে আসতে দেখা যায় তিন-চার ঘণ্টা লেগে যায়। এ কারণে চার ঘণ্টা করা। যাতে একজনের চার ঘণ্টা সময় যায়। এটা একটা পার্টটাইম জব। আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দেখি যে ছাত্রদের সরকারি অনেক কাজে সম্পৃক্ত করা হয় এভাবে।

‘যদি আমরা ফুল টাইম কাউকে নিতে যাই তাহলে সরকারের অর্থেরও বেশি বেশি প্রয়োজন হবে। আর আমরা টার্গেটেড করতে চাচ্ছি, চার ঘণ্টা। যে সময়টাতে বেশি ট্রাফিক সমস্যা থাকে। এতে সরকারেরও সুবিধা হলো এবং তাদেরও একটা আর্থিক অন্বেষণ হলো।’

এসব ছাত্রের পড়াশোনা শেষ হলে পুলিশে নিয়োগ দেওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, যদি সে ধরনের সুযোগ থাকে এবং ছাত্রদের পক্ষ থেকে আগ্রহ থাকে, তাহলে আমরা অবশ্যই সেটা ইনকরপোরেট করার চেষ্টা করবো।

Advertisement

আগামী ১ নভেম্বরের যুব দিবস উদযাপন নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এবার ভিন্ন আঙিকে যুব দিবস পালন করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। আমি জানতাম না যুব দিবস ছিল, আছে বা পালিত হয়, আমি যখন স্টুডেন্ট ছিলাম ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে। সেই জায়গা থেকে আমার মনে হয় আরও ইনগেজিং করা দরকার।

তিনি বলেন, ‘সরকারি যে কার্যক্রমগুলো থাকে সেগুলো আমরা যদি আরও ইনগেজিং না করতে পারি, মানুষের মধ্যে না পৌঁছাতে পারি, আলটিমেটলি জনগণের অর্থই তো খরচ হয়। সেগুলো মানুষের মধ্যে পৌঁছানো এবং কিছু রিয়েল পরিবর্তন নিয়ে আসা। তারই অংশ হিসেবে আমরা ৬৪টি খাল পরিষ্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এতে সহযোগিতা করছে। শুধু প্রতীকীভাবে একটা খাল না, আমরা ৬৪টি খাল পরিষ্কার করছি। শুধু একবার পরিষ্কার করে ছেড়ে দেওয়া না, তার পরবর্তীতে ম্যানেজমেন্ট যাতে সেই অবস্থায়ই থাকে সেটাও আমরা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করছি। এছাড়া আরও কিছু কর্মসূচি আমরা হাতে নিয়েছি।’

আসিফ মাহমুদ বলেন, এবার যুব দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘দক্ষ যুব গরবে দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ।’

এ বছর দুটি ক্যাটাগরিতে মোট ২০ যুব পুরস্কার দেওয়া হবে। এছাড়া ১৭ জন সফল আত্মকর্মী যুব এবং যুব সংগঠকে জাতীয় যুব পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন উপদেষ্টা।

আরএমএম/বিএ/জিকেএস