জাতীয়

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে বসানো হচ্ছে পূর্ণকালীন প্রশাসক

জনপ্রতিনিধিদের অপসারণের পর স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে (সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভা) সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশাসক নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। কাজের সুবিধার্থে এসব জায়গায় পূর্ণকালীন প্রশাসক বসানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।

Advertisement

বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বিএসআরএফ মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এ কথা বলেন। সচিবালয় কাভার করা সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এসময় তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে প্রশাসক দেওয়া হয়েছে। এখানে স্বাভাবিকভাবে কিছুটা বিলম্ব (সেবার ক্ষেত্রে) হয় লোকবলের অভাবে। আমরা সেখানেও চিন্তা-ভাবনা করেছি। অতি শিগগির আপনারা দেখতে পারবেন এখানে আমরা ফুল টাইম (পূর্ণকালীন) অ্যাডমিনিস্ট্রেটর দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করতে যাচ্ছি। এটা নিয়ে এখন চিন্তা ভাবনা হচ্ছে।

উপদেষ্টা বলেন, আমরা বুঝতে পেরেছি সাময়িক একজন প্রশাসক দিয়ে এত বড় সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ বা পৌরসভার সেবাগুলো দেওয়া সম্ভব নয়। এখানে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব আছে সার্বক্ষণিক কর্তব্য আছে। সেগুলো পালন করার জন্য সার্বক্ষণিক একজন প্রশাসকের প্রয়োজন। সে ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। অতি শিগগির জানা যাবে।

Advertisement

হাসান আরিফ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ এক সময় ৩ বছর ছিল। এই মেয়াদ বাড়িয়ে ৫ বছরে উন্নীত করা হয়। কিন্তু দুই বছর মেয়াদ বৃদ্ধিতে লাভ কী হয়েছে, তার কোনো নিদর্শন পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে কখনো কোনো মূল্যায়নও করা হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদ নিয়েও আমার ব্যক্তিগত অভিমত হলো, পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের মেয়াদ ৩ বছর হওয়া উচিত। কারণ তিন বছর মেয়াদ হলে ১৫ বছরে ৫ বার নির্বাচিত প্রতিনিধি এখানে আসবেন। ফলে অধিক সংখ্যক জনপ্রতিনিধি এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করা সুযোগ পাবেন।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের অপসারণ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। সময় সাপেক্ষে অবস্থা অনুযায়ী এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। এই বিষয়ে আমাদের গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করা আছে।

চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় দুই সিটি করপোরেশনে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে ১০টি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। আমাদের দেশে রিসার্চ এবং ডেভলপমেন্ট (আর অ্যান্ড ডি) নিয়ে খুব একটা কাজ হয় না। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে জোর দিতেই বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে টিম গঠন করা হয়েছে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।

Advertisement

আরএমএম/এমআইএইচএস/এমএস