চট্টগ্রাম টেস্টে ৫৭৭ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস ঘোষণার পর শুরুতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। মাত্র ৩১ রানে চার টপঅর্ডারকে হারিয়ে চরম বিপদে পড়েছে বাংলাদেশ।
Advertisement
ইনিংসে প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে ওপেনার সাদমান ইসলামকে তুলে নেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা। ডাউন লেগের বলে উইকেটরক্ষক কাইল ভেরেইনের হাতে ধরা পড়েন বাঁহাতি ব্যাটার। ৬ বলে ০ রানে বিদায় নেন সাদমান।
সর্বশেষ ৩ ইনিংসে দুইবারই ডাক মারলেন সাদমান। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪ বলে খেলে ০ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। ওই টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ বলে মাত্র ১ রান করেন সাদমান।
টিকতে পারেননি জাকির হাসানও। তিনিও হন রাবাদার শিকার। ৮ বলে মাত্র ২ রান করে বিহাইন্ড দ্য উইকেটে ভেরেইনের হাতে ধরা পড়েন বাঁহাতি ব্যাটার।
Advertisement
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ডেন পিটারসনের চতুর্থ বলে কভার ড্রাইভে চার হাঁকান ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। পরের বলেই দ্বিতীয় স্লিপে এইডেন মার্করামের হাতে ধরা পড়েন এই ডানহাতি।
এরপর নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে হাসান মাহমুদকে নামায় বাংলাদেশ। পরের ওভারে আউট হয়ে যান হাসানও। কেশব মহারাজের ঘূর্ণিতে খেই হারানোর আগে ৭ বলে ৩ রান করেন ডানহাতি ব্যাটার।
এর আগে ৩ সেঞ্চুরি আর ২ ফিফিটিতে ৫৭৭ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। উইয়ান মুলদার টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর তাদেরকে ডেকে নেন অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। মুলদারের সঙ্গে ৬৮ রানে অপরাজিত ছিলেন সেনুসান মুথুসামি।
১৪৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তাইজু্ল ইসলামকে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুলদার। ষষ্ঠ উইকেটে ১৫০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি করেন মুলদার ও মুথুসামি।
Advertisement
এই ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকানো বাকি দুই দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার হলেন টনি ডি জর্জি (১৭৭) ও ত্রিস্টান স্টাবস (১০৬। মুথুসামির সঙ্গে ফিফটি করা অন্য ব্যাটার হলেন ডেভিড বেডিংহাম (৫৯)।
বাংলাদেশের হয়ে তাইজুল ইসলাম একাই নেন বাকি ৫ উইকেট। এ নিয়ে ১৪তম বার টেস্টের এক ইনিংসে ৫ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। বাকি এক উইকেট নেন পেসার নাহিদ রানা।
এমএইচ/জিকেএস