চট্টগ্রাম টেস্টে ৫৭৫ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস ঘোষণার পর ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন ওপেনার সাদমান ইসলাম।
Advertisement
ওভারের পঞ্চম বলে সাদমানকে তুলে নেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা। ডাউন লেগের বলে উইকেটরক্ষক কাইল ভেরেইনের হাতে ধরা পড়েন বাঁহাতি ব্যাটার। ৬ বলে ০ রানে বিদায় নেন সাদমান।
সর্বশেষ ৩ ইনিংসে দুইবারই ডাক মারলেন সাদমান। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪ বলে খেলে ০ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। ওই টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ বলে মাত্র ১ রান করেন সাদমান।
এর আগে ৩ সেঞ্চুরি আর ২ ফিফিটিতে ৫৭৫ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। উইয়ান মুলদার টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর তাদেরকে ডেকে নেন অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। মুলদারের সঙ্গে ৬৮ রানে অপরাজিত ছিলেন সেনুসান মুথুসামি।
Advertisement
১৪৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তাইজু্ল ইসলামকে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুলদার।
মুলদার ছাড়াও এই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন আরও দুই দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার। তারা হলেন টনি ডি জর্জি (১৭৭) ও ত্রিস্টান স্টাবস (১০৬। মুথুসামির সঙ্গে ফিফটি করা অন্য ব্যাটার হলেন ডেভিড বেডিংহাম (৫৯)।
মূলত, প্রথম দিনই ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। নিরেট ব্যাটিং উইকেটে পুরো দিন ৮১ ওভার বল করে মাত্র ২টি উইকেট নিতে পারে বাংলাদেশ দলের বোলাররা।
প্রথম দিনই সেঞ্চুরি করেন পূর্ণ স্টাবস ও ডি জর্জি। স্টাবস আউট হলেও উইকেটে থেকে যান ডি জর্জি। শেষমেশ ১৭৭ রানের বিশাল ইনিংস খেলার আগে তাকে আউট করতে পারেননি বাংলাদেশের কোনো বোলার।
Advertisement
আজ দ্বিতীয় দিনে জর্জি আর বেডিংহ্যাম মিলে ১১৬ রানের বিশাল জুটি গড়ে ফেলেন। অবশেষে তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণি কথা বলতে শুরু করে। দ্রুত একের পর এক - তিনটি উইকেটের পতন ঘটান তিনি। ফিরিয়ে দেন বেডিংহ্যাম, ডি জর্জি এবং কাইল ভেরেইনেকে।
৩৮৬ থেকে ৩৯১- এই ৫ রানের মধ্যে ৩ উইকেট দক্ষিণ আফ্রিকাকে কিছুটা চাপে ফেলেছিলেন তাইজুল ইসলাম। এরপর মুলদারের সঙ্গে রায়ান রিকেলটনের ৩২ রানের জুটি ভাঙেন পেসার নাহিদ রানা। রিকেলটনকে (৪১ বলে ১২) রানে উইকেটরক্ষক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের হাতের ক্যাচ বানান ডানহাতি টাইগার পেসার।
ষষ্ঠ উইকেটে ১৫০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি করেন মুলদার ও মুথুসামি।
তাইজুল ইসলাম একাই নেন বাকি ৫ উইকেট। এ নিয়ে ১৪তম বার টেস্টের এক ইনিংসে ৫ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার।
এমএইচ/এমএস