বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা বিএনপি ও তারেক রহমানকে মেনে নিয়েছেন বলে আমার বিশ্বাস। তা না হলে এত বড় পরিবর্তন হতো না। আল্লাহর ইশারায় এত বড় পরিবর্তন হয়েছে। বিএনপি, তারেক জিয়া, শহীদ জিয়া ও খালেদা জিয়াকে যারা ভালোবাসে আগামীতে তাদেরই দিন আসছে। সেজন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। এই ঐক্যই আমাদের সাফল্যের দিকে নিয়ে যাবে।
Advertisement
বুধবার (৩০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশ কর্মজীবী দল গাজীপুর মহানগর এর উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রতিবাদ এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি জনগণকে ভোট দেওয়ার সুযোগ যদি দেওয়া হয় তাহলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রহমান। আওয়ামী লীগ, ভারতসহ কিছু চোর-ডাকাত বিএনপিকে দেখতে পারে না। এজন্য তারা ইলেকশনকে ঠেকিয়ে রাখতে চাই। যাতে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে না পারে। তারেক রহমান যেন প্রধানমন্ত্রী হতে না পারে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, অনতিবিলম্বে একটি নির্বাচন দিতে হবে। তার মানে এই নয় যে আগামীকাল নির্বাচন দিতে হবে। আমরা রোডম্যাপের দাবি করেছি। কখন নির্বাচন দেবেন সময়টাতো আমাদের জানতে হবে। সে সময়টা আমাদের বলেন দেশের জনগণ ভোট দেওয়ার আশায় বসে আছে। জনগণ ভোটের অধিকার থেকে ২০ বছর ধরে বঞ্চিত। জনগণের ঠিক করবে কে তাদের প্রতিনিধি হবে। সেই প্রতিনিধির মাধ্যমে আমরা আবার দেশটাকে সুন্দরভাবে সাজাতে চাই।
Advertisement
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, শেখ হাসিনা যা বলতেন সেটি করতেন না। আর যা করতেন সেটি বলতেন না। কাউকে কখনো সম্মান রেখে তিনি কথা বলেননি।
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মতো এত বড় লুটপাতকারী সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনো আসেনি। তিনি তার বাবাকেও হারিয়ে দিয়েছেন। ৪০ হাজার বিরোধী নেতাকে শেখ মুজিব সাড়ে তিন বছরে হত্যা করেছেন। শেখ হাসিনা তারই কন্যা। ৭২ সালে শেখ কামাল ব্যাংক ডাকাত হিসেবে তখনই পরিচিতি পেয়েছেন। সেই সময় গণকণ্ঠে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সে কারণে গণকণ্ঠসহ পত্রিকাগুলোকে তছনছ করে ফেলা হয়েছে। একটা পরিবার কতটা খুনি কতটা লুটপাতকারী এ রকম পরিবার বিশ্বে নেই বললেই চলে।’
তিনি বলেন, দেশ থেকে পাচারকৃত টাকাগুলো ফেরত আনতে হবে। সরকার উদ্যোগ নিয়েছে আমরা এটিকে সমর্থন জানিয়েছি। কিন্তু উদ্যোগ আর সমর্থন এটি বড় কথা নয়। এই টাকা জনগণের মেহনতের টাকা। সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা ফেরত আনতে হবে।
গাজীপুর মহানগর শাখার বাংলাদেশ কর্মজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মাস্টারের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি মো. আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচা আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, কর্মজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আলতাব হোসেন, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম খান প্রমুখ।
Advertisement
আরএএস/এমআইএইচএস/এমএস