মাদারীপুরের বাজারে মাছের দাম কমছেই না। সরবরাহ ভালো থাকলেও দামে আগুন। এতে করে মাছ কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
Advertisement
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত এই ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধ। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি দামে মাছ বিক্রি করছেন।
মাদারীপুর শহরের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র পুরাণ বাজার, ইটের-পুর, পৌরবাজার, চৌরাস্তার বাজার, বকুলতলা বাজার, মস্তফাপুরের মাছের আড়তসহ প্রায় সব বাজারেই পর্যাপ্ত দেশীয় নানা জাতের মাছ আছে। তবুও হঠাৎ করেই দাম বেড়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ৪০০-৪৫০ টাকা, কই মাছের দাম ৬০০-৭৫০ টাকা, শিং ৮০০-১২০০ টাকা। রুই মাছের দাম ৪০০ টাকা ও কাতল ৫০০-৬২০ টাকা কেজি। এছাড়া চিংড়ির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০-১০০০ টাকা, আর শোল ও বোয়াল মাছ ৬০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
Advertisement
শহরের পুরাণ বাজারের মাছ ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া বলেন, মাছ উৎপাদনে অনেক খরচ। তার সঙ্গে পরিবহন খরচও বেশি। তাই বাজারে মাছের দাম কিছুটা বাড়তি। এছাড়া ইলিশ বেচা শুরু হলে দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
রাস্তি থেকে আসা ক্রেতা মিলন খা বলেন, এক ঘণ্টা ঘুরেও মাছ কিনতে পারছি না। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের দামও বাড়তি। গরিব মানুষের পক্ষে এখন মাছ কিনে খাওয়া কঠিন হয়ে পরেছে। তাই মাছ না কিনেই বাড়ি চলে যাচ্ছি।
আরেক ক্রেতা মোহাম্মদ শহীদ বলেন, এই সময়টায় দেশীয় মাছ বেশি পাওয়া যায়। তাই দামও কম থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে বাজারে মাছের দাম অনেক বেশি। ইলিশ বন্ধ থাকার সুযোগে মাছ ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়েছে। মাছ ছাড়া তো ভাত খাওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়ে পরিবারের জন্য বেশি দাম দিয়েই মাছ কিনলাম।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ক্রেতাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাজারে অভিযান চালিয়ে প্রায়ই অসাধু ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হচ্ছে। কিন্তু জনবল সংকটের কারণে কিছুটা বেগ পেতে হয়। তবে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে।
Advertisement
আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/জেডএইচ/জেআইএম