সারা দিনে বাংলাদেশের বোলাররা মাত্র ২টি উইকেটের পতন ঘটিয়েছেন। প্রথম দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান গিয়ে ঠেকেছে ২ উইকেটে ৩০৭। ওপেনার টনি ডি জর্জি আর ওয়ান ডাউন ত্রিস্তান স্টাবস অনবদ্য সেঞ্চুরি করেছেন। দ্বিতীয় উইকেটে ২০১ রানের বিরাট জুটিও গড়েন এ দুই প্রোটিয়া ব্যাটার। জাকের আলী অনিক ও লিটন দাসের বদলে সুযোগ পাওয়া উইকেটকিপার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন একটি করে ক্যাচ ও স্টাম্পড আউট করার সুযোগ হাতছাড়া করেছেন।
Advertisement
এর বাইরেও বাংলাদেশের ফিল্ডারদের হাত গলে আরও ক্যাচ ফস্কে গেছে। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের বোলিং ছিল একদমই ধারহীন, নির্বিষ। ভক্ত ও সমর্থকরা যা দেখে হতাশ।
তবে বাংলাদেশ দলের হেড কোচ ফিল সিমন্স হতাশ নন। দিন শেষে তার মূল্যায়ন, ‘আমি বলব না, আমি হতাশ। এটা খুবই ভালো উইকেট আমরা যতটুকু জানি। আমি মনে করি বোলাররা ভালো বোলিং করেছে। আমরা কিছু সুযোগ মিস করেছি। এটা ভিন্ন হতে পারতো। দিন শেষে ৪ বা ৫ উইকেট থাকতে পারতো। কিন্তু আপনি জানেন আমাদের কঠিন দিন গিয়েছে। আমি এমন দিন আগেও দেখেছি। তাই আমি বলবো আমি হতাশ না।’ জাকির হাসানকে খেলানো নিয়ে কোনো সংশয় ছিল কিনা? জানতে চাইলে সিমন্স বলেন, ‘না, এখানে কোনো ভুল বোঝাবুঝি ছিল না। জাকির ফিরে আসতই। তাকে আমরা ব্যাটিংয়ের জন্য কিছু সময় দিতে চেয়েছিলাম। কারণ সে সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচে খেলেনি। তাই আমাদের যদি প্রয়োজন পড়ে, তাকে তৈরি রাখতে চেয়েছিলাম। এরপর আমাদের একজন কনকাশন হয়েছে। আরেকজন অসুস্থ। তাই দুই ব্যাটার ছিটকে গেছে। এখানে কোনো ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ নেই।’
এআরবি/এমএমআর/এমএস
Advertisement