জাতীয়

বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে

দারিদ্র্য, পারিবারিক অসচেতনতা, ভৌগোলিক অবস্থান, ধর্ম ও সামাজিক কুসংস্কারের কারণে বাংলাদেশে এখনো বাল্যবিয়ের হার বেশি। এ অবস্থায় ২০৩০ সালের মধ্যে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।

Advertisement

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সিরাক-বাংলাদেশ আয়োজিত বাংলাদেশ নবম জাতীয় যুব পরিবার পরিকল্পনা সম্মেলন-২০২৪ এর একটি সেশনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশে কিশোর-কিশোরী এবং তরুণ-তরুণীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য, অধিকার এবং পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করতে দুদিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ইউনিসেফের তথ্যমতে, বাংলাদেশের ৫১ শতাংশ মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার। করোনা মহামারির পর এই হার আরও বেড়েছে।

Advertisement

সিরাক-বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এস এম সৈকত বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ফার্টিলিটি রেট ময়মনসিংহ জেলায়, ২ দশমিক ৭। এছাড়া ডেমোগ্রাফিক হেলথ সার্ভের তথ্যমতে, ১৬ বছরের আগে ২৭ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। তরুণদের মধ্যে আমরা অনেক সম্ভাবনা দেখছি। সামাজিক সংস্কারের জায়গায় কাজ করতে হবে।

সম্মেলনে পাঁচ শতাধিক কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নীতি নির্ধারক এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণ থাকছে।

এ বছর সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয়- ‘যুব ক্ষমতায়ন: সর্বজনীন স্বাস্থ্য শিক্ষা সম্প্রসারণের মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনা ত্বরান্বিত করা, কৈশোর স্বাস্থ্যের উন্নয়ন, জলবায়ু ন্যায়বিচার এবং লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠা’।

এছাড়া সম্মেলনটি হাইব্রিড মডেলে পরিচালিত হচ্ছে, যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা অনলাইন ও অফলাইন ফরম্যাটেও অংশগ্রহণ করছেন।

Advertisement

২০১৬ সাল থেকে আয়োজিত এ সম্মেলন প্রতি বছর তরুণের জন্য একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে আসছে। যেখানে তারা পরিবার পরিকল্পনা, সর্বজনীন প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা, জলবায়ু ন্যায়বিচার এবং লিঙ্গ সমতা নিয়ে তাদের উদ্বেগ ও সমাধানের প্রস্তাব তুলে ধরতে পারেন।

এসআরএস/এমকেআর/এএসএম