সোশ্যাল মিডিয়া

‘হাসিনার পুকুরে’ মাছ ধরতে না পারার আক্ষেপ আসিফ মাহমুদের

 

বড়শি না থাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুকুরে মাছ ধরতে পারেননি বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

Advertisement

সোমবার (২৮ অক্টোবর) গণভবনের পুকুরের পাশে বসা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন আসিফ মাহমুদ। তার সঙ্গে ছবিতে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম ও উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশনে আসিফ লেখেন, ‘এক দুপুরে, হাসিনার পুকুরে...।’ ওই ক্যাপশনের নিচে বিশেষভাবে লিখেছেন, ‘বি. দ্র. : বড়শি না থাকায় মাছ ধরতে পারিনি।’ পোস্টের কমেন্ট বক্সে আসিফ লেখেন, ‘ক্যাপশনের মাস্টারমাইন্ড Mahfuj Alam’।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘর ঘোষণা করা গণভবন সোমবার পরিদর্শন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

Advertisement

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘গণভবন জাদুঘরে আয়নাঘরের একটি প্রতিরূপ নির্মাণ করা উচিত, যেখানে শেখ হাসিনা শত শত ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধী নেতাদের গোপনে আটক রাখতেন। আয়নাঘর দর্শনার্থীদের সেই বন্দিদের কষ্টের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে।’

আরও পড়ুনগণভবন জাদুঘরে আয়নাঘরের একটি প্রতিরূপ নির্মাণ করা উচিত খুনি-ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রনায়কদের পরিণতির নিদর্শন হবে গণভবন: নাহিদ

এ সময় তিনি জুলাই-আগস্ট মাসের গণঅভ্যুত্থানের স্মরণে গণভবনে একটি জাদুঘর নির্মাণ দ্রুত সময়ে করতে উপদেষ্টাদের নির্দেশ দেন।

পরিদর্শনকালে ড. ইউনূস উপদেষ্টাদের জাদুঘর নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করতে বলেন। তিনি ডিসেম্বরের মধ্যে জাদুঘর নির্মাণের প্রস্তাব চূড়ান্ত করার নির্দেশ দেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘গণভবন জাদুঘরে শেখ হাসিনার শাসনামলের স্মৃতি সংরক্ষিত থাকবে এবং তার বিরুদ্ধে জনগণের ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ ফুটে উঠবে।’

Advertisement

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে ২০০৯ থেকে শুরু হওয়া দুর্নীতির চিত্র এই জাদুঘরে সংরক্ষিত থাকবে। তারা অন্য দেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করছেন, যেসব দেশ তাদের বিপ্লব ও গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ করেছে।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা গণভবন থেকে পালিয়ে ভারত চলে যান। এক মাস পর ৫ সেপ্টেম্বর গণভবনকে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘর করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। ওই দিন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ কাজটি সম্পন্ন করবে বলে জানানো হয়েছিল।

এমএমএআর/জেআইএম