ধর্ম

বিদায় জানানোর সময় যে দোয়া করতেন নবিজি (সা.)

কেউ যখন দূরে কোনো যাত্রা করে বা সফরে বের হয় তখন বিদায় দেওয়ার সময় তার জন্য দোয়া করা সুন্নত। কোনো সাহাবি সফরে বের হওয়ার আগে নবিজির (সা.) সাথে দেখা করতে এলে নবিজি (সা.) তার জন্য দোয়া করতেন।

Advertisement

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বলেন, নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন কাউকে বিদায় দিতেন, তখন তার হাত ধরতেন এবং সে নিজে থেকে হাত ছাড়িয়ে নেওয়ার আগ পর্যন্ত হাত ধরে রাখতেন। হাত ছেড়ে দেবার সময় নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতেন,

أَسْتَوْدِعُ اللَّهَ دِينَكَ وَأَمَانَتَكَ وَخَوَاتِيمَ عَمَلِكَ

উচ্চারণ: আসতাওদিউ-ল্লাহা দীনাকা ওয়া আমানাতাকা ওয়া আখিরা আমলিকা

Advertisement

অর্থ: আপনার দীন আমানত আমানাত ও আপনার শেষ আমল আল্লাহর কাছে সমর্পণ করলাম। (সুনানে আবু দাউদ: ২৬০০)

আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, এক ব্যক্তি নবিজির (সা.) কাছে গিয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমি সফরে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছি, অতএব উপদেশ দিন। তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলার ভয় (তাকওয়া) অবলম্বন করুন এবং প্রতিটি উচ্চ জায়গায় যাওয়ার সময় তাকবির ধ্বনি দেবেন। যখন লোকটি চলে যাচ্ছিল, সে সময় আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন,

اللَّهُمَّ اطْوِ لَهُ الأَرْضَ وَهَوِّنْ عَلَيْهِ السَّفَرَ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইতওয়ি লাহুল আরযা ওয়া হাওয়িন আলাইহিস সাফারা

Advertisement

অর্থ: হে আল্লাহ! তার পথের ব্যবধান কমিয়ে দিন এবং তার জন্য সফর সহজতর করে দিন। (সুনানে তিরিমিজি: ৩৪৪৫)

আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, এক ব্যক্তি সফরে বের হওয়ার আগে বিদায় নেওয়ার জন্য নবিজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কাছে গেলে নবিজি (সা.) তার জন্য দোয়া করেছিলেন,

زَوَّدَكَ اللَّهُ التَّقْوَى‏ وَغَفَرَ ذَنْبَكَ وَيَسَّرَ لَكَ الْخَيْرَ حَيْثُمَا كُنْتَ

উচ্চারণ: যাওওয়াদাকা-ল্লাহুত তাকওয়া ওয়া গাফারা যামবাকা ওয়া য়াসসারা লাকাল খাইরা হাইসুমা কুনতা। (সুনানে তিরমিজি: ৩৪৪৫)

অর্থ: আল্লাহ তাআলা আপনাকে তাকওয়ার পাথেয় দান করুন। আপনার গুনাহ ক্ষমা করুন। আপনার জন্য কল্যাণকে সহজতর করুন, আপনি যেখানেই থাকুন।

আল্লাহর রাসুলকে (সা.) অনুসরণ করে ওপরে উল্লিখিত তিনটি দোয়ার যে কোনো একটি বা সবগুলো দোয়াই আমরা করতে পারি।

ওএফএফ/জেআইএম