ঘুম থেকে ওঠার স্বাভাবিকভাবেই চোখের নিচে ফোলাভাব বা পাফি আইস দেখা যায়। হাত-মুখ ধোয়ার পর অবশ্য তা ঠিক হয়ে যায়। তবে দিন দিন যদি আপনার চোখের তলায় ফোলাভাব বাড়ে, তাহলে সতর্ক হওয়া জরুরি।
Advertisement
মূলত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখের চারপাশের চামড়া পাতলা হয়ে যায়। হারিয়ে যায় নমনীয়তা। ফলে ফুলে যায় চোখের নিচের অংশ। বয়সজনিত কারণে এই সমস্যা হলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া মুশকিল।
অ্যালার্জির কারণেঋতু পরিবর্তনের কারণে বা ধূলাবালি থেকে অ্যালার্জি হলে চোখের চারপাশে তার প্রভাব পড়ে। এ কারণে ফুলে যেতে পারে চামড়া। এ ধরনের সমস্যা হলে চুলকানি, লালচেভাব থেকে ফুলে যায় চোখ।
কান্না করলেদীর্ঘক্ষণ কান্নাকাটি করলে চোখের নিচে তরল জমা হতে পারে। অশ্রুতে পানি, লবণ ও এনজাইম থাকে। তা থেকে চোখের চারপাশের ত্বকে জ্বালাপোড়া করে। একই সঙ্গে চোখ ফুলে ও ভারী হয়ে যেতে পারে।
Advertisement
চোখের নিচের অংশ ফুলে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে ডিহাইডড্রেশন। বিশেষত প্রচুর পরিমাণে লবণ ও অ্যালকোহল গ্রহণে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে।
হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলেশরীরে মাঝে মধ্যে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এই পরিবর্তনগুলো প্রধাণত ঋতুস্রাব, মেনোপজ, গর্ভাবস্থার সময় ঘটে। যার জন্য চোখ ফুলে যায়।
ঘুম না হলেসামগ্রিক স্বাস্থ্য কেমন থাকবে তা অনেকটাই নির্ভর করে ঘুমের উপর। রাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। না হলে সকালে ঘুম থেকে ওঠে চোখের নিচের অংশ ফুলে যায়।
ধূমপান ও অ্যালকোহল গ্রহণের কারণেনিয়মিত ধূমপান ও অ্যালকোহল পানের জন্য ডিহাইড্রেশন হতে পারে। আর ডিহাইড্রেশন থেকে বাড়তে পারে চোখের নিচের ফোলাভাব।
Advertisement
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে দিনভর। পাশাপাশি রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। অ্যালকোহল পান ও ধূমপান কমাতে হবে। প্রয়োজনে ছাড়তে হবে সম্পূর্ণ। চোখের নিচের অংশ ফুলে গেলে ঠান্ডা শেক দিন।
জেএমএস/জিকেএস