বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে যত বিদেশি ঋণ এসেছে, তার চেয়ে বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাস জুলাই-সেপ্টেম্বরে এ সুদ ও আসল মিলিয়ে ১১২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। একই সময়ে বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও দেশের কাছ থেকে মোট ৮৪ কোটি ৬১ লাখ ডলারের ঋণ ছাড় করা সম্ভব হয়েছে। অর্থাৎ ছাড়ের চেয়ে প্রায় ২৮ কোটি ডলার বেশি ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে।
Advertisement
শুধু ছাড় নয়, চীন থেকে ঋণ প্রতিশ্রুতিও নেই। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাস জুলাই-সেপ্টেম্বরে দেশটির কাছ থেকে কোনো অর্থ পায়নি বাংলাদেশ। তবে ঋণ ছাড়ে শীর্ষে রয়েছে জাপান, রাশিয়া, ভারত, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক জুলাই-সেপ্টেম্বরের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তিন মাসে জাপান, এডিবি, রাশিয়া, বিশ্বব্যাংক ও ভারত ঋণ ছাড় করলেও নেই নতুন প্রতিশ্রুতি।
আরও পড়ুন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে সুখবর দিলেন গভর্নরদেশে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে সব মিলিয়ে ৮৪ কোটি ৬১ লাখ ডলারের বিদেশি ঋণসহায়তা এসেছে। এই সময়ে ঋণ প্রদানে শীর্ষে ছিল জাপান। দেশটি সব মিলিয়ে ২১ কোটি ডলার দিয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এডিবি দিয়েছে ১৫ কোটি ৬৭ লাখ ডলার। ১৪ কোটি ৯৩ লাখ ডলার ছাড় করে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া। এছাড়া চতুর্থ স্থানে থাকা বিশ্বব্যাংক ৭ কোটি ৮৪ লাখ ডলার এবং পঞ্চম অবস্থানে ভারত সাড়ে ৪ কোটি ডলার ছাড় করেছে।
Advertisement
দেশে কয়েক বছর ধরে চীনা ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। বাংলাদেশকে ঋণ দেয় এমন ৩২টি দেশ ও সংস্থার মধ্যে সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চীনের অবস্থান ছিল চতুর্থ। তাদের ওপরে ছিল বিশ্বব্যাংক, জাপান ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবি। বাংলাদেশ প্রতি বছর মোট যে ঋণ পায়, তার প্রায় ১০ শতাংশ দেয় চীন।
এমওএস/ইএ/জিকেএস